ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়ন যুবলীগের সা.সম্পাদক বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার

মোতালেব হোসেন ঃ | প্রকাশের সময় : সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:২১:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর

সৈয়দপুর যুবলীগের আহব্বায়ক কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও তা দীর্ঘ ৭বছর যাবৎ কমিটি বিহীন চলছে। কুখ্যাত রাজাকার পুত্র দিল নেওয়াজ খান ও তার সহাযোগী দোসর টেন্ডারবাজ আসাদুল ইসলাম আসাদ যুবলীগের আহব্বায়ক ও যুগ্ন আহব্বায়ক সেজে দীর্ঘ ৭ বছর যাবৎ সৈয়দপুর যুবলীগের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পূর্বের কমিটি অনৈতিকতার দোষে দুষ্ট হওয়ায় তা বাতিল হয় পরে স্থানীয় ভূমিদস্যু মোকছেদুল মোমিন তার ভাইজান বাহিনীর ক্যাডারদের পূর্নবাসন করার জন্য স্থানীয় যুবলীগের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নানান ধরনের বিতর্কিতদের স্থান দিয়ে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের সদস্য হওয়ায় ভাইজান রাজনীতিতে তাদের কদর বাড়তে থাকে। তারা আরো বেপরোয়া হয়ে মাদক ব্যবসা, দখলবাজী, টেন্ডারবাজী, রেলের জমি দখল, রেলের ভবন ভেঙ্গে বিক্রি, চাঁদাবাজী, সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও জমি দখল, সাংবাদিক পেটানো, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতিকে পেটানো, নিজ দলের প্রতিষ্টাতা সভাপতি কাজী ওমর আলীর পুত্রকে পেটানোসহ নানান অপকর্ম করছে তাদের ভাইজানের নির্দেশে।

এবার বিপুল পরিমান মাদকসহ ধরা পড়লো স্থানীয় কামারপুকুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান মিষ্টার। দলীয় পদ পদবী ব্যবহার করে সে দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা, ফেন্সিডিলসহ অন্যান্য মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিলো। দীর্ঘদিন ধরে র‌্যাবের-১৩ এর গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা তাকে ধরার জন্য ফাঁদ পেতে ছিলো। গত ৩রা সেপ্টেম্বর নীলফামারী থেকে আসা র‌্যাব-১৩ এর চৌকষ একটি দল তাকে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ হাতে নাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার গ্রেফতারের খবর শুনে কামারপুকুর ইউনিয়নের সাধারন মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করে বলে এই মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কুখ্যাত রাজাকার পুত্র দিল নেওয়াজ খানের মদদে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। সে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার সাধারন মানুষ বাজারে মিষ্টি বিতরন করে আনন্দ প্রকাশ করে বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা জানান বিতর্কিত রাজাকার পুত্র কথিত যুবলীগ নেতা ও তাদের বাহিনীর মাইম্যান দিয়ে দল ভারী করার কারণে এই সকল মাদক ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে স্থান পাচ্ছে। ইতিপূর্বে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাও গ্রেফতার হয়ে ইয়াবা ব্যাবসার কারণে। এেেদর কারণে দলের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদে থাকা ভারাপ্রাপ্ত একজন নেতা তার নিজের রাজনীতির প্রভাব বিস্তার করার জন্য এই সকল বিতর্কিতদের দলে স্থান দিচ্ছেন বলেও তারা জানান।