ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার আধুনিক মডেল মসজিদের একাধিক জায়গায় ফাঁটল দেখে, পরিদর্শন শেষে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপসচিব জনাব আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহীন ।তিনি (৩-৩-২০২২ ইং তারিখে) বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় সরেজমিনে এই মসজিদ পরিদর্শনে আসেন এবং উপস্থিত কর্মকর্তা ,ঠিকাদার ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় কালে মডেল মসজিদের নিম্নমানের কাজের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হরিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হাসান মুকুল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম,,গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান সরকার,উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এম কে এম নুরুল হাসান .ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুত সমিতির এজিএম আসাদুজ্জামান, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মশিউর রহমান,উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবু নগেন কুমার পাল,এছাড়াও হরিপুর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,১২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় মডেল মসজিদের নির্মাণ সম্পন্ন হয়।খায়রুল কবির রানা নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মসজিদটির নিমার্ণ কার্যাদেশ পায়। এদিকে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে নির্মিত একযোগে দেশের যে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন তার মধ্যে এই মসজিদটিও ছিল। এই মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত মসজিদ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়নি।
এদিকে মসজিদটি কমিটির নিকট হস্তান্তর করার পূর্বেই বা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই দ্বিতীয় তলা ও তৃতীয় তলায় মসজিদের বিভিন্ন ওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। এতে স্থানীয় মুসল্লীরা সহ সাধারণ মানুষ আতংকিত হয়ে পড়লে দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকা ও ২৪ ফেব্রুয়ারী মাছরাঙা টেলিভিশনে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।তারই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ধর্ম মন্ত্রনালয় তদন্তের নির্দেশ দেয়।
মসজিদ পরিদর্শন শেষে তিনি উপস্থিত কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক সহ বিভিন্ন মহলের প্রতিনিধিদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।