ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

হাকিমপুরে নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা পরিচালনার অভিযোগ

মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, হিলি প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৬ মে ২০২২ ০৮:২৫:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ছাতনী-রাউতারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে হয়ে গেল শিক্ষার্থীদের আন্ত:ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠান। ফলে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। বিষয়টি নিয়ে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা পারভিনকে বলতে গেলে উল্টো লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন। এনিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় গ্রামবাসী ও কয়েকজন অভিভাবক জানান, গত শনিবার দুপুরে উপজেলার ছাতনী-রাউতারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্ত:ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ক্রীড়া প্রতিযোগীতাটি ওই বিদ্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরী হাশের আলী পরিচালনা করেন। কিন্তু সেখানে বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক উপস্থিত না থাকায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তখন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মুসা মিয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা পারভিনকে বিষয়টি বলতে যান। এসময় প্রধান শিক্ষক কথা না শুনে উল্টো মুসা মিয়াকে গালিগালাজ ও লাঞ্চিত করে বিদ্যালয় চত্বর থেকে বের করে দেন। যা ওই সময় ধারণকৃত একটি ভিডিওতে প্রধান শিক্ষককে উত্তেজিত ভাবে কথা বলতে দেখা যায়।

মুসা মিয়া অভিযোগ করেন, স্কুলে মেয়েকে টিফিনের টাকা দিতে যাই। দেখতে পারি স্কুল মাঠে আন্ত:ক্রীড়া প্রতিযোগীতা চলছে। সেখানে কোন শিক্ষক উপস্থিত নেই। নৈশ্য প্রহরী হাসেম আলী খেলা পরিচালনা করছে। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিশৃঙ্খলা দেখে প্রধান শিক্ষক সুলতানা পারভিনকে বলতে যায়। তখন তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে বলে তুমি বলার কে? সেটা আমি দেখবো। ইত্যাদি বলে বের করে দেয়। প্রধান শিক্ষক দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে।

এবিষয়ে সাংবাদিকরা প্রধান শিক্ষক সুলতানা পারভীনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। আবার কখনো ফোন না ধরে কেটে দেন। আজ সোমবার দুপুরে আবার ফোন দিলে ব্যস্ত আছি বলে ফোনটি কেটে দেন।

এ্্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, নৈশ প্রহরি দিয়ে আন্ত:ক্রীড়া প্রতিযোগীতা পরিচালনা করার কোন সুযোগ নেই। শিক্ষকরা এটি পরিচালনা করবে। এ ব্যাপারে ফোনে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।