ঠাকুরগাঁও শহরের টাঙন নদীর ব্রীজের পাশ থেকে আবারো দিনে-দুপুরে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই এই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। এর আগেও ব্রীজের পাশে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে ব্রীজের রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যায়। আর বালু উত্তোলনের নিউজ করা হলেও কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে নাই প্রশাসন।
এমতাঅবস্থায় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত শহরের টাঙ্গন ব্রীজটি রয়েছে ঝুকিতে। পানি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে আর তার সাথে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করলে ব্রীজের আশপাশ ভেঙ্গে নদিতে বিলিন হবে।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা শহরের টাঙন নদীর ব্রীজের নিচে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। পাশের সাব-রেজিট্রি অফিসের পেছনের খাল ভরাট করার জন্য এই ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে। ড্রেজার বসানোর অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে তারা মাটি ভরাট করার একটি কাগজ দেখান। যেখানে উল্লেখ রয়েছে নদীর পাড়ে বিদ্যমান বালি দিয়ে সাব-রেজিট্রি অফিসের পেছনের খাল ভরাট করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারা ড্রেজার বসিয়ে বালু দিয়ে খাল ভর্তি করছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে টাঙ্গন নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসলেও এরা বরাবরই রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিষয়টি বার বার প্রশাসনকে অবহিত করার পরও কাজের কাজ কিছুই হয়না বরং বালু সিন্ডিকেটরা বেপরোয়া ভাবে তাদের বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে আসছে। যে কারনে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদীর পাড়ের অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি, গাছপালা, জায়গা জমি হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।