ঢাকা, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

আগামীকাল শুরু হবে তিনদিনব্যাপী ঐত্যিবাহী কুম্ভমেলা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৭ মে ২০২৩ ১১:১৮:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর

গোপালগঞ্জের সীমান্তবর্তী মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ীতে  রবিবার (২৮ মে) থেকে শুরু হবে তিনদিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ‘কুম্ভমেলা’। আজ শনিবার (২৭ মে) থেকে শুরু হয়েছে ভক্তবৃন্দের আগমন। মেলায় দোকানিরা বসেছেন পসরা সাজিয়ে। মেলার জনপ্রিয়তা বাড়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটেছে। এদিকে মেলায় আগত মানুষের জন্য তিনস্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা যায়, ১৪০ বছর পূর্বে জ্যৈষ্ঠ মাসের ১৩ তারিখে ১৩ জন সাধু ১৩ কেজি চাল ও ১৩ টাকা নিয়ে কদমবাড়ীর দীঘিরপাড় ভারতের কুম্ভমেলাকে অনুসরণ করে এ মেলার আয়োজন করেন। সেই থেকে গনেশ পাগল সেবাশ্রমে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এক রাতের মেলা হলেও মেলা চলে সপ্তাহ ব্যাপী। প্রায় ২০ থেকে ৩০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে এই মেলায়। রবিবার সকাল থেকেই দলে দলে ঢোল ও ডংকাসহ নানা রকমের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে জয় হরিবল ও জয়বাবা গনেশ পাগল ধ্বণি করতে করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাধু সন্যাসী ও ভক্তবৃন্দরা বাসে, ট্রাকে, ট্রলারে ও পদব্রজে মেলা প্রাঙ্গনে আসতে শুরু করেছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও অন্যান্য রাষ্ট্র থেকেও বহু ভক্তবৃন্দ আসেন এ মেলায়। সেবাশ্রমটি ঘিরে প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসেছে সারি সারি নানা রকমের দোকান। পুরো মেলাটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করছে কর্তৃপক্ষ। মেলার হাজারো দোকনে পছন্দের জিনিস সুলভ মূল্যে কিনতে পেরে খুশি হয় ক্রেতারা। আর বেঁচাকেনা বাড়ায় খুশি হয় বিক্রেতারা। মেলা মঙ্গলবার শেষ হলেও বেচাকেনা চলবে আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত।
গনেশ পাগল মেলা কমিটির সভাপতি প্রণব কুমার বিশ্বাস বলেন, এ বছরও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতায় মেলা সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হবে আশা করছি। সেবাশ্রমের সেবাইত নবীন গোসাই বলেন, প্রতি বছরের মতো এবছরও পাগলের সকল ভক্তদের জন্য প্রসাদের (খিচুড়ি) ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। এবছর ভক্তরা যাতে মোবাইলে ভালো যোগাযোগের সুবিধা পায় সে জন্য এখানে একটি অস্থায়ী গ্রামীন টাওয়ার বসানো হয়েছে।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মাসুদ আলম, বিপিএম(বার), পিপিএম বলেন, ইতোমধ্যে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। মেলাকে ঘিরে যেন কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য ১৩০ জনের অধিক অফিসার ও ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দুইদিন  আগে থেকেই কাজ শুরু করছে। তাদের মাধ্যমে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা নেবো।