ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১

আমতলীতে মৎস্য অফিস থেকে পাওয়া ছাগল ও উপকরণে উপকারভোগীদের অসন্তোষ

মহিউদ্দিন লিমন, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০৬:৪১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

বরগুনার আমতলীতে  উপজেলা মৎস্য অফিসের আয়োজনে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের  জেলে পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে (৪ জানুয়ারি বুধবার) উপজেলা মৎস্য অফিস প্রাঙ্গনে  দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষন ও উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যেগে ২০টি জেলে পরিবারের মাঝে দুইটি করে ছাগল ও এক বস্তা খাবার এবং ছাগলের পালনের জন্য একটি করে ঘর বিতরন করা হয়েছে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে ২০টি পরিবারকে ৪০টি ছাগল ১৫ কেজি করে খাবার , একটি খোপ ও ঔষধ দেয়ার জন্য ৪ লাখ ৪ হাজার ৯শ টাকা বরাদ্ধ আসে।  উক্ত বরাদ্ধের মধ্যে  প্রতিটি ছাগল ৭ হাজার টাকা ১৫কেজি করে খাবার, ৪ হাজার টাকা মুল্যের  একটি কাঠের ঘর  (খোপ)  ও কৃমির ওষুধ দেয়ার পরিপত্র আসে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সর্দার ছাগল ঘর ও অন্যান্য মালামাল ক্রয় করে ৪ জানুযারী বিতরন করেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে , প্রতিটি ছাগল ৩ থেকে ৪  হাজার টাকার বেশি দাম হবেনা। ৯ থেকে ১০ কেজির বেশি খাবার দেয়া হয়নি বলে সুবিদাভোগিরা জানান তাছাড়া প্রতিটি ছাগল ঘর (খোপ)২ হাজার থেকে ২৫ শ টাকার বেশি হবেনা  বলেও তারা জানান।  এ ছাড়া সুবিদাভোগি ২০ পরিবার কে ৪০টি ছাগলের কৃমির ওষুধ দেওয়া হয়েছে। 

 

অপর সুবিদা ভোগী কাশেম মিয়া বলেন, ছাগল দেছে ছায় মায়  বড় ছাগলটির দাম হবে ৩ হাজার ছোটটি ২ হাজার পাচ শত টাকার বেশি হবেনা। আর খাবার দিয়েছে ১০ কেজি।

 সুবিদা ভোগী মেয়া গাজীর স্ত্রী  জানান ছাগল দুটির দাম হবে পাঁচ হাজার কি সাড়ে পাচ হাজার আর দুই হাজার হতে পারে  ছাগল ঘরের দাম । আর খাবার দিয়েছে ১০ কেজি।  

আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সর্দার  বলেন পরিপত্র অনুযায়ী ২০ জেলে পরিবারকে ছাগল খাবার ঘর বিতরন করা হয়েছে। 

 বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম বলেন, খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।