ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

আমি একটি হাওয়ার গাড়ি!

লেখক-মো. দুলাল হোসেন | প্রকাশের সময় : শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ ০৬:০৬:০০ অপরাহ্ন | সাহিত্য

 

আমি একটি হাওয়ার গাড়ি আমার নেই নিজের বাড়ি! আমি এক মাটির মূর্তি, দুনিয়ায় আমি করি কত যে ফূর্তি। নিঃশ্বাসের নেই কোন বিশ্বাস কখন পরান পাখি উড়ে যাবে থাকি এ ভাবনায়, ভালটাই আশা করি প্রতিদিনের কামনায় সময়ের আবর্তে ঝরে যেতে হবে এক দিন, হয়ত সকালে নয়ত সাঝে, আমরাতো ব্যস্ত সবাই দুনিয়ার কাজে। পাতা ঝরে গিয়েও হবে উনুনের জ্বালানি, মানুষ ঝরে গেলে হবে মাটির ফেলানি। রক্ষা হবে না থাকিলেও লোহার পিঞ্জিরায় এ কথা ধর্মীয় গ্রন্থের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়। মানুষ আমি রঙের ফানুষ দুনিয়ার ভিতর সাধের এই দালান-কোঠা, বাড়ি -ঘর একদিন কাইড়া নেবে প্রাণের কারিগর। বিনা তেলে জ্বলছে বাতি দিন-দুপুর নিশি রাতি তেল ফুরালে সবই ফাঁকি! একথা কি কেউ মনে রাখি? শুধু আমরা বড়লোক হওয়ার ধান্ধায় থাকি। অবৈধ সম্পদ অর্জণের প্রতিযোগিতায় আমাদের প্রতিটি প্রহর কেটে যায়। ভাবি না আমার প্রাণ পাখি কখন যাবে উড়ি তথাপিও দুনিয়ার মায়ায় পরে অযথা ঘুরি। আমিতো মালিকের গগনে উড়ন্ত এক ঘুড়ি! নাটাইতো নেই মোর হস্তে ভাই কেমন করে বল ঐ শাহেনশাহকে পাই। আমি ছিলাম একবিন্দু জলের অনু, মহাধিরাজ দিয়েছেন এক বিশাল তনু। দিয়েছে এক মাটির কায়া, জগতে এসে বেড়েছে অবনির জন্য মায়া। বিশাল এই তনুর প্রতিটি শাখা- প্রশাখা হবে হয়ত একদিন আমার বৈরী, তাই ভাই চল মরণের জন্য হই তৈরি।