ঢাকা, রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ই পৌষ ১৪৩১

উচ্ছ্বাস ও আমেজের মধ্যেদিয়ে পঞ্চম ব্যাচের মডেল মেডিসিন শপ প্রশিক্ষণের সফল সমাপ্তি

কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সুনামগঞ্জ | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:০৮:০০ পূর্বাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন
 
সুনামগঞ্জ জেলায় মডেল মেডিসিনশপ স্থাপন ও পরিচালনার উদ্দেশ্যে ফার্মাসী কাউন্সিল অফ বাংলাদেশ (পি.সি.বি), ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) এবং ম্যানেজমেন্ট সাইন্সেস ফর হেলথ (এম.এস.এইচ)এর সার্বিক সহযোগীতায়  অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। রবিবার (১২ ডিসেম্বার) এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০২১ পঞ্চম ব্যাচের ১২ দিনের প্রশিক্ষণ সফল ভাবে সমাপ্ত হয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচী ব্রিটিশ সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস এফসিডিও এর অর্থায়নে, সুনামগঞ্জ জেলার ৩৫ জন গ্রেড সি-ফার্মেসী টেকনিশিয়ানের উপস্থিতিতে উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের বিএইচবি প্রকল্প এর এম.এস.এইচ এর মো: রূহুল্লাহ সিদ্দিকীর  সঞ্চালনার সকল ফার্মাসিস্টরা মুগ্ধ। ট্রেনিং এর ১২তম দিন শেষে সকল ফার্মাসিস্টদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনা দেখা গিয়েছে কারন ট্রেনিং এর বিষয়বস্তু, ডিজাইন এবং নতুন প্রযুক্তির ব্যাবহার নতুনত্ত্ব এনেছে। মো: রূহুল্লাহ সিদ্দিকীর স্বপ্ন এই ট্রেনিং প্রোগ্রামটি একটি মডেল ট্রেনিং হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করা। এবং এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছেন। 
 
ট্রেনিংএ সমাপনি বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুনামগঞ্জ জেলার বিসিডিএস এর সভাপতি মো: আলতাফুর রহমান। এই ট্রেনিং প্রোগ্রামে প্রজেক্ট টিম লিডার হিসেবে রয়েছেন মো: নূরুজ্জামান (এম.এস.এইচ), রিসোর্স পার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রফেসর ড. মো: আমিরুল ইসলাম। ট্রেনিং এর শেষদিনে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, সপ্তদশ জাতীয় স্বাস্থ্য নীতির মূল লক্ষ্য অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের সহজ লভ্যতা, মূল্য নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা এবং সর্বত্র সেগুলোর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। দেশীয় ওষুধ শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ১২ দিন প্রশিক্ষনে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, মডেল মেডিসিন শপ স্থাপন ও পরিচালনার জন্য কিছু আদর্শমান তৈরি হয়েছে। ওষুধ ডিসপেন্সারের ডিসপেন্সিং দক্ষতা, প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা, সেবা প্রদান পদ্ধতি, বিক্রয়কৃত ওষুধের ধরন এবং মডেল মেডিসিন শপের অবকাঠামো প্রতিটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে  তৈরি করা হয়েছে ১১ টি আদর্শমান। গুড ডিসপেন্সিং প্র্যাকটিস নিশ্চিতিকরণের মাধ্যমে করোনা মহামারি কালীন সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ফার্মাসিষ্ট, ডিপ্লোমা-ফার্মাসিষ্ট, ফার্মেসি টেকনিশিয়ানদের ভূমিকা। ওষুধ সঠিকভাবে ডিসপেন্সিং অর্থ শুধুমাত্র রোগী বা গ্রাহককে ওষুধ দেয়া নয়। ওষুধ ডিসপেন্সিং মূলত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সর্বশেষ ধাপ যেখানে রোগী,গ্রাহক সেবাদানকারী ডিসপেন্সারের সাথে মূখোমুখি হন।
 
 এখান থেকে একজন ডিসপেনসার সঠিক রোগীদের, সঠিক ওষুধ, সঠিক মাত্রায়, সঠিক পরিমাণে, সঠিক মোড়কে প্রদান করে। ডিসপেন্সিং এর উপর অনেকসময় রোগীর বা গ্রাহকের চিকিৎসার ফলাফল নির্ভর করে। অর্থাৎ রোগী ভাল হবে কিনা বা কত দ্রুত ভাল হবে তা সঠিক ডিসপেন্সিং এর উপর নির্ভর করে।  
 
সুনামগঞ্জ জেলায় যে সকল ফার্মাসিষ্টরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে ফার্মেসি ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়ার ফ্রি প্রদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এম.এস.এইচ এর উপদেষ্টা রাজিব আহমেদ সুনামগঞ্জ জেলা পরিদর্শন করেন এবং সফ্টওয়ার সর্ম্পকে ফার্মাসিষ্টদের কে স্পষ্ট ধারনা প্রদান করেন।  
 
ট্রেনিং কার্যক্রমের ধারাবাহিক অংশহিসেবে ষষ্ঠ ব্যাচের প্রশিক্ষণ ৩৫ জন প্রশিক্ষনার্থীর উপস্থিতিতে ২০ ডিসেম্বার ২০২১ থেকে শুরু হয়ে ২ জানুয়ারী ২০২২ পর্যন্ত একটানা ১২ দিন (শুক্রবার ব্যাতিত) চলবে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রতিদিন দুপুর সোয়া ২ টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল পোনে ৪টা পর্যন্ত চলবে।