মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে প্রাইভেট কারসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার কুমড়াকাপন গ্রাম থেকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করছে।
পরে ধর্ষণের অভিযোগে প্রাইভেটকার চালক পাভেল মিয়া (২৭)কে পুলিশ গ্রেফতার করে। পাভেল কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর বস্তী এলাকার মাহমুদ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা দু’জনকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। নির্যাতিতা ওই স্কুল ছাত্রী বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, কমলগঞ্জ বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী (১৪) আলীনগরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে ধলাই নদীর নতুন ব্রীজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রাইভেটকার চালক পাভেল মিয়া (২৭) ও তোয়াহিদ মিয়া (২০) ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। পরে অভিযুক্ত তোয়াহিদ মিয়া কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে চলে যায়।
কিন্তু স্কুল ছাত্রী গাড়ি থেকে নামতে চাইলে চালক পাভেল তাকে ভয় দেখিয়ে মৌলভীবাজার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘোরি করে শমসেরনগরের বড়চেগ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের পাশে রাবার বাগানে নিয়ে গাড়িতেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় স্কুল ছাত্রী চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে চালক পাভেল তাকে শমসেরনগরের কেছুলুটি গ্রামের শহিদুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে রাখে। পরের দিন সকালে রাবার বাগানে নিয়ে পুনরায় গাড়ির ভিতরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সন্ধ্যায় বাবাসহ এলাকার লোকজন পাভেল মিয়া ও তার প্রাইভেটকার আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক ব্যক্তিকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে।