ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, প্রেমিকসহ আটক ২

হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল : | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ১০ জুন ২০২২ ০৮:২২:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্কের জেরে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর মা ভূঞাপুর থানায় অভিযোগের পর বখাটে প্রেমিক রুবেল (২৫) সহ তার সহযোগী আরেক বখাটে ওসমান গনিকে (৩৩) চট্টগ্রামের একটি বাসা থেকে আটক করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত ধর্ষক রুবেল উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের খড়ক গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে ও তার সহযোগী ওসমান গনি একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত রুবেল এক সন্তানের জনক। ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি স্থানীয় একটি কলেজের ছাত্রী।

জানা যায়, অভিযুক্ত রুবেলের সঙ্গে ফেসবুকে নিয়মিত চলতো কথাবার্তা। পরে দেখা-সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কলেজছাত্রী। সে সময়ে কৌশলে তাদের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে রুবেল। এরপর থেকেই তার কথামতো না চললে সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিতো সে। পরে কলেজছাত্রী কাউকে না জানিয়ে বাধ্য হয়ে রুবেলের সাথে চলে যায় চট্টগ্রাম। সেখানে একটি ভাড়া বাসায় থাকতো তারা।

তবে কলেজছাত্রীর বাড়ী থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি না জেনে গত ৩০ মে নিখোঁজ উল্লেখ করে ওই ছাত্রীর মা গত ৫ জুন ভূঞাপুর থানায় একটি জিডি করেন। এরপর রুবেলের মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে অভিযান চালায় ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) ফাহিম ফায়সালের নেতৃত্বাধীন পুলিশ সদস্যরা।  অভিযান চালিয়ে গত বুধবার (৮ জুন) চট্টগ্রামের একটি বাসা থেকে অভিযুক্ত রুবেল ও তার সহযোগী ওসমানকে আটক করেন। একই সঙ্গে ওই কলেজ ছাত্রীকেও উদ্ধার করে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাতে রুবেলের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করেছে কলেছাত্রীর মা।

শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। তিনি জানান, অভিযানে গ্রেফতারকৃত বখাটে কলেজছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। এরপর ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীতে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। সেখানেও ধর্ষণের শিকার হয় কলেজছাত্রী। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বখাটে রুবেল ও তার সহযোগী ওসমানকে আটক করে। 

আটককৃত অভিযুক্ত রুবেল ও তার সহযোগীকে শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার মোবাইলে ওই মেয়েটিসহ একাধিক মেয়ের নানা ধরণের ছবি পাওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার (১১ জুন) আদালতের কাছে রিমান্ড চাওয়া হবে। এ ছাড়া মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।