বরগুনা জেলা কারাগার হতে বিআরটিসি বাসযোগে কিশোর আসামী যশোর সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে বামনা উপজেলাধীন তুলতলা বাস স্ট্যান্ড নামক স্থান হতে পুলিশের হাত থেকে এক জন আসামী পালিয়ে যায়। পালানোর তিন ঘন্টা পর বামনা থানা পুলিশ নিজামতলী এলাকা থেকে আসামীকে আটক করে। দায়িত্বে অবহেলায় এক এসআই ও দুই কনোষ্টবলকে ক্লোজ করা হয়েছে।
আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার সকালে বরগুনা জেলা কারাগার হতে মাদক দ্রব্য মামলার আসামি মোঃ জনি-(১৬) ও মোঃ মাহমুদ হাসান-(১৬) কে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে এসআই মাহবুব আলম (নিরস্ত্র) কনস্টেবল প্রণব ও মোঃ আবু নাঈম কর্তৃক বিআরটিসি বাসযোগে বরগুনা হতে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে সকাল ৮:৩০ ঘটিকায় বামনা উপজেলাধীন তুলতলা নামক বাস স্ট্যান্ড হতে যাত্রী উঠা -নামার সময় কিশোর আসামী মোঃ মাহমুদ বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। আসামীদ্বয় কিশোর হওয়ায় তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ ছিল না বিধায় পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে বামনা থানা পুলিশ খবর পেয়ে আসামীর নিজ গ্রাম হতে তিন ঘন্টা পরে আটক করেন। পালানো আসামী মাহমুদ বামনা উপজেলার নিজআমতলী গ্রামের স্বপন বেপারীর ছেলে।
ক্লোজ হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই মোঃ মাহবুব আলম, কনেষ্টবল প্রনব ও মোঃ আবু নাঈম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) মোঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান সকলের সহযোগিতায় পুলিশের হাত থেকে পালানো আসামী মাহমুদকে অল্প সময়ের মধ্যে আমরা আটক করতে সক্ষম হয়েছি। দায়িত্বে অবহেলার জন্য তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্বে বিভাগীয় আনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য গত শনিবার (৯ জুলাই) বরগুনার বামনা উপজেলার নিজামতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহামুদ ও জনিসহ গ্রেফতার করা হয় একই এলাকার আবুল কালাম জোমাদ্দারে ছেলে মো. নাজমুল ইসলামকে (৩২)। এসময় তাদের থেকে ১৯ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। তাদের মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে বরগুনা কোর্টে পাঠানো হয়েছিল।