ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

কালীগঞ্জে একদিনে হত্যা করা হয় ১৩৬ জনকে

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:১৮:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর

আজ ১ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এইদিনে গাজীপুরের কালীগঞ্জে চলে নারকীয় গণহত্যা। খলাপাড়া গ্রামের ন্যাশনাল জুট মিলের ভেতর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৩৬ জন বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনী।

সেই থেকে প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর শহীদের স্মরণে কালীগঞ্জে গণহত্যা দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে মানুষ। এতে অংশ নেবে উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হবে।

কালীগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোস্তফা মিয়া জানান, ১৯৭১ সালে ১ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ ন্যাশনাল জুট মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা সকালের নাস্তা খেতে বসছিলেন। এসময় হানাদার বাহিনী পার্শ্ববর্তী ঘোড়াশাল ক্যাম্প থেকে নদী পার হয়ে মিলের ভেতর ঢুকে মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে থাকে।

 

ওই দিন সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ন্যাশনাল জুট মিলের নিরীহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক লাইনে দাঁড় করিয়ে হানাদার বাহিনীরা গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। গণহত্যা চালিয়ে দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙ্গে মিল ত্যাগ করে পাক বাহিনী। ৩-৪ দিন মরদেহগুলো মিলের সুপারি বাগানে পড়ে থাকে। ফলে সেগুলো শেয়াল-শকুনের খাদ্যে পরিণত হয়। দেশ স্বাধীন হলে এলাকাবাসী মিলের ভেতর গিয়ে ১৩৬ জনের মরদেহ বিকৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে ওই ন্যাশনাল জুট মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনকে গণকবরে সমাহিত করা হয়। বাকী মরদেহ তাদের স্বজনরা নিয়ে যায়।

মিল কর্তৃপক্ষ গণহত্যার শিকার শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে ‘শহীদের স্মরণে ১৯৭১’ নামক একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করে। শহীদের গণকবরের পাশে নির্মাণ করা হয় একটি পাকা মসজিদ।