ঢাকা, বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কুমিল্লা সিটি: নতুন ইসির ইমেজ তৈরির নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৫ মে ২০২২ ০৮:১২:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

দায়িত্ব পাওয়ার পরই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা প্রমাণের পরীক্ষা হিসেবে দেখা দিয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন। সে কারণে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইসি। নিজেদের প্রথম নির্বাচন দিয়ে ‘ক্লিন ইমেজ’ তৈরি করতে চায় আউয়াল কমিশন। এ কারণে নির্বাচনের একমাস আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ১৫ মে থেকে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১২ মে থেকে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও মোতায়েন রয়েছেন। এছাড়া নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্র ও ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। ইভিএম কাস্টমাইজ ও ভোটগণনার সময় প্রার্থী এবং প্রার্থীর প্রতিনিধিকে রাখা হবে।

নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর কয়েক দফায় বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ে প্রথম ধাক্কা খায় ইসি। আমন্ত্রিত অতিথিদের অধিকাংশই অনুপস্থিত থাকেন বৈঠকে। এটি ইসির ইতিহাসে বিরল। এছাড়া সঠিক সময়ে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন করতেও ব্যর্থ হয়েছে ইসি। এ সিটির মেয়াদ ১৬ মে শেষ হলেও ভোট হচ্ছে একমাস পর, ১৫ জুন। এ নিয়ে ইসি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাল্টাপাল্টি জবাবও পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানিয়েছিলেন, সীমানা সংক্রান্ত মামলা ছিল কুমিল্লা সিটিতে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে এ নিয়ে আমরা জানতে চেয়েছিলাম। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাব বিলম্বে পেয়েছি। তাই সঠিক সময়ে ভোট হচ্ছে না।

অন্যদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সঠিক সময়ই জবাব দিয়েছি।

তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূলত প্রস্তুতির অভাবের কারণেই সেখানে সঠিক সময়ে নির্বাচনের তফসিল দিতে পারেনি। এখন সেই নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

প্রতিটি কেন্দ্র ও ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা

কুমিল্লা সিটির সবগুলো কেন্দ্রে নির্বাচন হবে ইভিএমে। ভোট বিতর্কমুক্ত করতে সবগুলো কেন্দ্রের সবগুলো কক্ষে সিসি ক্যামেরা বসাতে চায় ইসি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, মূলত ইসির প্রস্তুতির অভাবের কারণেই কুসিকে নির্বাচন করতে দেরি হয়েছে। সেখানে ইভিএমে নির্বাচন হবে। এটার জন্য প্রস্তুতি দরকার ছিল। এছাড়া ভোটকেন্দ্র ও কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।

তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে একটি এবং ভোটকক্ষে (ভোটাররা যেখানে ভোট দেবেন, সেই গোপন স্থান ছাড়া) একটি করে সিসি ক্যামেরা থাকবে। যাতে সেখানে কোনো অনিয়ম হলে পরে পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

ইসি আলমগীর আরও বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা যখন নির্বাচনী মালামাল নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, তখন বা তার আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা চালু থাকবে। ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ ক্যামেরা থাকবে। ইভিএম কাস্টমাইজ ও ভোট গণনার সময় প্রার্থী এবং প্রার্থীর প্রতিনিধিকে নির্বাচনের প্রতিটি স্তরে রাখতে হবে। শুধু কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নয়, কোনো নির্বাচনেই আমরা ঘাটতি রাখব না।