কুষ্টিয়ার বাজারে গত কয়েকদিন চাল,ডাল, পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন কাঁচামালের মূল্য যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে নিম্ম ও মধ্যম আয়ের মানুষ ক্ষুব্ধ।
এ অবস্থায় বর্তমান সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা মোঃ সালেহ উদ্দিন আহম্মেদ রবিবার সাংবাদিকদের জানান, যে কোন মূল্যে কাচামালের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীদের সাথে বসে নিত্যপণ্যের দাম কমানো হবে।
অন্যদিকে, বাজারে নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির দায় নিতে নারাজ কুষ্টিয়ার বাজারে খুচরা বিক্রেতারা। তারা বলছেন, আড়তদারেরা পণ্য মজিদ করছে বলেই দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, আজ ( সোমবার ) বেগুন ৭০ টাকা কেজি আড়তে। এর সাথে পরিবহন, ড্যামারেজ, হাট খাজনা সহ ৮০ টাকার নিচে বিক্রি করলে কিছুই থাকে না।
কুষ্টিয়া সুখ নগর বস্তির সোলাইমান মিয়া রিকশা চালিয়ে পাঁচ জনের সংসার চালান। তিনি বলেন, আগে ২৫০-৩০০ টাকা আয় করে প্রতি সপ্তাহে গোস্ত কিনতে পারতাম। এখন ৭০০-৮০০ টাকা দিনে আয় করেও মাসে একদিন গোস্ত কিনতে পারিনা। চাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল কিনতেই এতদিনের আয় সব শেষ হয়ে যায়। সাথে, বাড়ি ভাড়া ও ডাক্তারের খরচ তো আছেই। দু'টি সন্তান স্কুলে পড়ে তাদের স্কুল ও প্রাইভেট খরচ যোগার করতে হয় এই খরচের মধ্যে থেকেই। এই দুই মাস পর পরিবারের জন্য মাছ, গোস্ত কিনি বলে জানান সোলাইমান।
কুষ্টিয়ার রাজার হাট, মিউনিসিপ্যাল বাজার সহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, মোটা চাউল ৫৮-৬০ টাকা, আলু-৬০ টাকা, পেঁয়াজ -১১০ টাকা, রসুন-২০০-২৫০ টাকা, পোটল-৩৫ টাকা, কচু-৬০ টাকা, বেগুন-৮০ টাকা, মূলা-৪০ টাকা, ঢেড়স-৩০ টাকা, উস্তে- ৭০ টাকা, ঝিঙে -৪০ টাকা, পুইশাক -২০ টাকা, কাচামরিচ-২৪০-২৫০ টাকা, ওল-৮০ টাকা কেজি। এছাড়াও অনান্য জিনিসের দামও তুলনামূলক বেশী।
আয়নাল মিস্ত্রি নামে একজন ক্রেতা জানান, আন্দোলন কিন্তু শুধু কোটা বিরোধী মানুষ করেনি। এই আন্দোলনের খেটে-খাওয়া মানুষও যোগ দিয়েছিলো। তারাও জীবন দিয়েছে স্বৈরাচার তারাতে। এই সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের দাবি দ্রুত জিনিসপত্রের দামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। না হলে মানুষ আবারো সংগ্রাম করবে।