ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিজ্ঞান গুচ্ছ এবং প্রকৌশল গুচ্ছের অনার্স ভর্তি পরীক্ষার পর ভর্তি কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আগে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসও শুরু হয়ে গেছে।
কিন্তু কৃষি গুচ্ছের ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আটকে আছে। ২০ জুলাই একযোগে সারাদেশে গুচ্ছের এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ এখনো নতুন তারিখ ঘোষণা করেনি। যার কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ইতিমধ্যে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিও পদত্যাগ করেছেন। কৃষি গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নতুন ভিসি নিয়োগ এবং ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দীর্ঘদিন পরীক্ষা আটকে থাকায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। এছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা যথাসময়ে শেষ করলেও কৃষি গুচ্ছের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে অনেক দেরিতে। এ নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তারা বলছেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে অনেক আগে। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু কৃষি গুচ্ছের পরীক্ষা এখনো শুরু হয়নি। পরীক্ষা কখন হবে সেটিও জানানো হচ্ছে। আমরাও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, দ্রুত সময়ে যেন পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
কৃষি গুচ্ছের মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-ময়মনসিংহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-গাজীপুর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-ঢাকা, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এবার গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে আছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কৃষি গুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমরা ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করবো। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ করছি। আমরা দ্রুত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করবো।
প্রায় ৭০ হাজার পরীক্ষার্থী ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে কৃষিতে গুচ্ছের এ পরীক্ষা আটকে আছে।
৮টি কেন্দ্র হলো-চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।