লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে শারদীয় শুভেচ্ছা লেখা একটি ব্যানার সবার নজর কেড়েছে। ডা. অসিত মজুমদারের পক্ষ হতে এই ব্যানার টানানো হয়। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন কে এই ডা. অসিত মজুমদার?
সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ব্যানারটি দেখা যায়। বিভিন্ন সোর্স থেকে খবর নিয়ে জানা যায় রায়পুর উপজেলার ক্যাম্পেরহাট অঞ্চলের বাসিন্দা ডা. অসিত মজুমদার ঢাকায় কর্মরত একজন চিকিৎসক।
তিনি একাধারে একজন চিকিৎসক, দক্ষ সংগঠক ও উদ্যোক্তা, কবি ও লেখক,শিক্ষা গবেষক ও সমাজসেবক।
বর্তমানে কাজ করছেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিকস কেয়ার, মেডিনোভা মালিবাগ ও গ্রীণরোড, ধানমন্ডি, ঢাকা তিনি মূল উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক কেয়ার এ আছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিবিএস পাস করে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এণ্ড সার্জন্স হতে এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করে বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে চার বৎসর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং তৎপরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বৎসরব্যাপী এফসিপিএস কোর্স সমাপ্ত করেন। বারডেম এবং ইউকে যৌথ কোলাবরেশনে সার্টিফিকেট কোর্স অন ডায়াবেটোলজি সম্পন্ন করেন। পিএইচডি গবেষক; ডেনমার্কের ডেনমার্ক ইউনিভারসিটির অধীনে স্টেনো এডভান্সড কোর্স ইন ডায়াবেটিস কোর্স সম্পন্ন করেন।পরবর্তীকালে আমেরিকান ডায়াবেটিস এসোসিয়েশন হতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স ইন ডায়াবেটিস কোর্স করেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, ঢাকায় ফ্যাকাল্টি হিসেবে এবং বিআইএইচএস হাসপাতাল, ঢাকায় সিনিয়র মেডিকেল অফিসার হিসেবে চিকিৎসক ছিলেন।
তিনি প্রায় দেড়যুগ বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, ঢাকায় কাজ করেছেন। কাজ করেছেন ঢাকায় ইউএসএইড এর প্রজেক্টে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর মেটারনাল এণ্ড নিওনেটাল হেলথ এ রুরাল হেলথ ডেভেলাপমেন্ট, মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও হেলথ পলিসি নিয়ে। ঢাকার ফার্মগেট আলরাজী হাসপাতালে মেডিসিন, সার্জারী, গাইনী, ক্যান্সার, লিভার, নিউরোলজি, কিডনী, ইএনটি, অর্থোপেডিক্স, হরমোন বিভাগে তাঁর কাজের বিশাল অভিজ্ঞতা আছে। এছাড়াও ঢাকায় কিডনী হাসপাতালে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে দীর্ঘদিনের।
দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়নের মহানন্দ অধিকারী নামে একজন ব্যক্তি জানান, সদা হাস্যময়ী, অত্যন্ত বিনয়ী এবং অমায়িক ডা. অসিত মজুমদার স্যার। ভালো একজন মানুষ। ভালো একজন চিকিৎসক। রোগ নির্ণয়ে দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে থাকে। একজন মানবিক চিকিৎসক। দক্ষ হাতে নিপূণভাবে রোগী দেখেন। আমি নিজেই বহু রোগী দেখিয়েছি। ক্লিনিক্যাল আই দারুণ শার্প। রেফালার সিস্টেম উন্নয়নে এবং প্রতিরোধযোগ্য রোগ প্রতিরোধ সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে তার কাজ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
মুঠোফোনে রায়পুরের এই কৃতি সন্তান ডাঃঅসিত মজুমদার বলেন, চিকিৎসা সেবা উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার উন্নয়নসহ বেকারত্ব দূরীকরণ এবং মেধাবী প্রজন্ম গড়তে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। মানুষ আমাকে গরিবের ডাক্তার হিসেবেই চিনে ও জানে।