ঢাকা, রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

কোন আইনে আছে : সরকারি রাস্তা ও গাছ কাটার বিধান

কামরুল হাসান, জামালপুর : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ০৮:২৫:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

জামালপুর জেলাধীন সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নস্থ মাটিয়াজানি পশ্চিম পাড়া তেঁতুলতলার তেঁতুল গাছটি কাটার জন্য স্থানীয় মৃত আঃ খালেকের ছেলে সুলতান মিয়া ও তার অনুসারীরা ওঠেপড়ে লেগেছে।  এ বিষয়ে গত বছরের ৭ মার্চ এলাকাবাসীর পক্ষে রফিকুল ইসলাম সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ৯ মার্চ জেলা প্রশাসক, জামালপুর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি মহাদান ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জুলহাস উদ্দিন বিগত ২৪ জুলাই/২৩ তারিখে সরিষাবাড়ী থানায় একটি জিডিও করেছেন। জিডি নং- ১১৯৫। এর প্রেক্ষিতে সুলতান মিয়ার মা রওশনারা বেগম গত বছরের ৬ আগস্ট সরিষাবাড়ী থানায় জিল্লুর রহমানকে প্রধানসহ ১২ জন আরও ১০/১২ জন অজ্ঞাত মোট ২২/২৪ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নাং-২। এছাড়া সম্প্রতি সুলতান মিয়া মাটিয়াজানি-ফুলদহ রাস্তা ও তেঁতুলতলা-আব্দুল হাই-এর বাড়ির রাস্তার অন্তত ৩০ টি গাছসহ রাস্তা কেটেছে মর্মে অভিযোগ ওঠেছে। সঙ্গত কারণেই সচেতন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- সরকারি রাস্তা ও গাছ কাটার বিধান কোন আইনে আছে? বিষয়টি স্থানীয় সরকার, ভূমি ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তর তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা। অন্যথায় যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় সুলতান মিয়া মাটিয়াজানি-ফুলদহ রাস্তার তেঁতুলতলা হতে মাটিয়াজানি হাছেনের মোড় সরকারি রাস্তার উত্তর পার্শ্বের ১৬ টি এবং তেঁতুলতলা-আব্দুল হাই-এর বাড়ির রাস্তার পূর্ব পার্শ্বের ১৩ টিসহ অন্তত ৩০ টি (ইউক্যালিপ্টাস, মেহগনি, আম ও কাঁঠাল) গাছ ও রাস্তা কাটার অভিযোগের চাক্ষুস প্রমাণ মিলেছে। এ বিষয়ে জানতে সুলতান মিয়ার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। তবে তার মা রওশনারা বেগম, ফুফু ফুলজান বেগম ও ফুফাত ভাই হযরত আলীর সাথে কথা বললে তারা গাছ ও রাস্তা কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন। কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, ওই রাস্তা দুটি তাদের জমির মধ্যে তাই রাস্তা ও গাছ কেটেছে। সচেতন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- সরকারি রাস্তা ও গাছ কাটার বিধান কোন আইনে আছে? স্থানীয় প্রবীণদের মন্তব্য- সবাই যদি ইচ্ছামত সরকারি রাস্তা ও রাস্তার গাছ কাটে তাহলে তো কোন রাস্তা ও রাস্তার গাছই থাকবে না। বিষয়টি স্থানীয় সরকার, ভূমি, বন ও পরিবেশসহ  প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তর তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা। অন্যথায় যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।