
ফরিদপুরে কয়েক দিনের ঠান্ডা, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন বাজারে বা সড়কের পাশে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোয় উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দোকান গুলোয় সব বয়সের নারী পুরুষ শিশুসহ শীতের কাপড় কেনার জন্য ভীড় জমাচ্ছে। চাহিদা মত কিনছেন শীতের কাপড়। তবে সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও বেশি চাইছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
কয়েকদিনে ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি। প্রতিদিন রাত ৮-৯ টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো। শীতে উষ্ণতার জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতবস্ত্রের পুরোনো কাপরের দোকানগুলোতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, প্রতিবছর শীতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষজন ফুটপাত থেকে গরম কাপড় সংগ্রহ করে থাকেন। দামে কম ও মানে ভালো থাকায় ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত পণ্য খুঁজে পেতে এই ফুটপাতের বাজারগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। বাজারগুলোতে বাচ্চাদের বিভিন্ন সাইজের গেঞ্জি, সোয়েটার, বয়স্কদের কোট, ব্লেজার, মাফলার, মেয়েদের সোয়েটারসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিবছর শীতের আগমনকে ঘিরে মৌসুমী হকারদের আনাগোনা বেড়ে যায়। শীতের মাসে বাড়তি আয়-রোজগারের আশায় এসব মৌসুমে হকাররা ফুটপাতের পাশাপাশি ফেরি করে জেলার অলিগলিতে চষে বেড়াচ্ছেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জেলার বিভিন্ন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
শীতবস্ত্র কিনতে আসা আসাদ মিয়া বলেন, গত কয়েকদিনের হাড় কাঁপানো যে শীত, তাতে বাড়ির বৃদ্ধ এবং শিশুদেরকে নিয়ে খুব চিন্তায় পড়েছি। তাই আজ বাজারে আসলাম শীতের কাপড় কিনতে। আমার মা-বাবা সহ ছেলে ও মেয়ের জন্য কাপড় কিনলাম বেশ ভালো লাগছে।
শীতের কাপড় কিনতে আসা রফিক মোল্লা বলেন, গত কয়েকদিনে প্রচুর শীত পড়ে গেছে তাই শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। এবারের কালেকশনগুলো দেখে বেশ ভালো লাগতেছে। মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই অনেক কাপড় পাওয়া যাচ্ছে।
শীতের কাপড় বিক্রি করছেন মো. মফিজ মিয়া বলেন, আমাদের এখানেও শীতের কাপড়ের ভালো কেনাবেচা হচ্ছে। মার্কেট থেকে কোনো অংশে খারাপ নয় আমাদের শীতের কাপড় বেচাকেনা। বরং একই কাপড় বড় মার্কেটের চেয়ে ক্রেতারা এখান থেকে কম দামে কিনতে পারছেন। কাপড়ের কোয়ালিটি খারাপ না।