গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামে গত সোমবার ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে অভিযুক্তরা পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে শ্রীপুর থানায় করা মামলায় ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০ জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় এক যুবদল নেতা গ্রেফতার হয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন প্রধান (৪৫), মিন্টু মিয়া (৩৮), লালু (৩২), আল আমিন (২৫), কামাল হোসেন (৩৫), সাইদুল ইসলাম ব্যাপারী (৫০), শফিকুল ইসলাম ব্যাপারী (৪০), তামিম (৩০), তারেক (২৫) ও শাখাওয়াত হোসেন (২৮)। গ্রেপ্তার শফিকুল ইসলাম ব্যাপারী কাওরাইদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি।
হামলায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, শ্রীপুর থানার এসআই শামীম (৩৮) কনস্টেবল পলাশ (৩২) ও রফিকুল ইসলাম (৩৪)।
প্রসঙ্গগত, গত সোমবার দুপুরে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামে জমি দখল করতে গিয়ে হামলায় ওমর ফারুক লিপু (৪০), স্মৃতি আক্তার (৩০) ও বাবু (২০) আহত হয়। মারধরের পর তাঁদের জিম্মি করে রাখলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়। পুলিশ গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, গতকাল সোমবার ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামে যায় পুলিশ। সেখানে যাওয়ার পরপরই অভিযুক্তরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তাতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। সন্ত্রাসীরা এ সময় পুলিশকে বহনকারী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে। কেড়ে নেয় পুলিশের ওয়াকিটকি, মোবাইল ফোন ও ডায়েরি। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুন মামলা করেছেন।
বায়ান্ন/এসএ