জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী আয়োজিত প্রথমবারের মত আয়োজন করেছে রোবটিক্স অলিম্পিয়াড। শনিবার সকাল ৯টায় জনগণের মাঝে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ব করতে রোবটিক্স এই অলিম্পিয়াড এর আয়োজন করা হয়। ৪টি ক্যাটাগরিতে নেকটার মিলনায়তনে এই রোবটিক্স অলিম্পিয়াড শুরু হয়।
অনুষ্ঠিত রোবটিক্স অলিম্পিয়াডে স্কুল কলেজ এবং বিশ^বিদ্যালয়ের জুনিয়র গ্রুপ ৫র্ম শ্রেনী থেকে দ্বাদশ শ্রেনী এবং সিনিয়র গ্রুপ বিশ^বিদ্যালয় থেকে আপার লেবেলের ছাত্রছাত্রী অংশ গ্রহন করেছে।
প্রতিযোগিতায় ১০৬টি টিমে মোট ৩৩১ জন অংশ গ্রহন করেছে।
বিশ^বিদ্যালয় গুলোর মধ্যে বুয়েট, ঢাকা বিশ^াবদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ^বিদ্যালয়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ সহ ৪৯টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করে।
নেকটার পরিচালক মোঃ শাফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মহসিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) দেওয়ার মুহাম্মাদ হুমায়ুন কবীর। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী বুয়েটের সাবেক ডীন ড. মোহাম্মাদ কায়কোবাদ।
প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান বিশে^র বহুল আলোচিত বিষয়ের মধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অন্যতম একটি বিষয়। ‘ চতুর্থ শিল্প বিল্পব হল আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচলিত উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবহার স্বয়ংক্রিয়করণের একটি চলমান প্রক্রিয়া’। তথ্য প্রযুক্তির বাধাহীন ব্যবহার ও দ্রুত তথ্য স্থানান্তরের মাধ্যমে গোটা বিশে^র জীবন প্রবাহের গতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইন্টারনেট অব থিংকস এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার মানব সম্পদের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। এই ডিজিটাল বিল্পবের ছোঁয়ায় উৎপাদন ব্যবস্থার ঘটবে অতল্পনীয় পরিবর্তন। সেখানে উৎপাদনের জন্য মানুষকে যন্ত্র চালাতে হবে না বরং যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর্ম উৎপাদন করবে এবং কাজ হবে আরো নিখুঁত ও নির্ভূল। চিকিৎসা, যোগাযোগ, প্রকাশনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এর প্রভাব হবে অত্যন্ত জোরালো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমানে তরুনের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৭৬ লাখ যা মোট জনসংখ্যার ৩০%। বাংলাদেশে আগামী ৩০ বছর জুড়ে তরুন বা উৎপাদনশীল জনগোষ্ঠী সংখ্যা গরিষ্ঠ থাকবে। বাংলাদেশের জন্য ৪র্থ শিল্প বিপ্লবেরর সুফল ভোগ করার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ৪র্থ শিল্প বিল্পবের ফলেবিপুল পরিমান জনগোষ্ঠী চাকুরী হারালেও এর বিপরীতে তৈরী হবে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র। সেই লক্ষ্যে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন। তারই অংশ হিসেবে জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমীর এ আয়োজন।
রোবটিক্স অলিম্পিয়াড শেষে বিকেলে ৪টি গ্রুপের প্রতিযোগিদের মধ্যে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।