ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে এক গৃহবধুকে দীর্ঘদিনধরে নানা ধরনের কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন এক প্রতিবেশী লম্পট। অভিযুক্ত রাসেল উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। সে গভীর রাতে উঁকি-ঝুকি মেরে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখাই ছিলো তার মূল নেশা। তাকে দেখলেই আঁতকে ওঠেন নারীরা। তবে অল্প বয়সী বিধবা নারীদের কাছে সে এক আতঙ্কের নাম রাসেল। প্রতিবেশী চাচী'রাও রেহাই পাননি তার কু-নজর থেকে।রাত হলেই চুপিচুপি গিয়ে দরজা,
জানালা দিয়ে উঁকি মারেন কিংবা টিনের বেড়া ফুটো করে চোখ লাগিয়ে ভেতরের দৃশ্য দেখেন এই লম্পট রাসেল।এখন রাসেলের উৎপাতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ঐ এলাকার এক বিধবা নারী ও তার সন্তান।
এই অবস্থায় হরিণাকুণ্ডু থানায় ১৭ জুলাই সোমবার একটি লিখিত অভি্যোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী বিধবা নারী। রাসেল সম্পর্কে ভুক্তভোগীর চাচী হয়। চাচা ২০১০ সালে মারা যাওয়ার পর-পরই শুরু হয় উৎপাত। লম্পট রাসেল ঐ গৃহবধুকে ১৩ বছর ধরে উত্তোক্ত করে আসছে।এ নিয়ে গ্রাম্য শালিশ বিচার ও থানা পুলিশ হয়। জঘন্য এই অপরাধের কারনে তৎকালীন সময়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন বলে মুখরোচক গুনজন আছে।এদিকে এলাকার মৃত্যু জামাল হোসেনের স্ত্রী সালেহা খাতুন একই কারনে আত্মহত্যার শিকার হন বলে দাবী পুত্র আলেম উদ্দীনের।
ভুক্তভোগী গৃহবধু সাংবাদিকদের জানান,সে আমার ঘরের জানালায় হাত দিয়ে গভীর রাতে মুখ চেপে কাপুড় টেনে ধরে।আমার বাথরুমের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকে। আমি ভয়ে রাতে বাহিরে বের হতে পারি না। তিনি আরও জানান ১৩ বছর ধরে রাসেল আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করে আসছে। গত ১৬ জুলাই আনুমানিক রাত ১১টায় আমি ও আমার ছেলে রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় বিশ্রাম করছিলাম। উত্তোক্তকারী রাসেল আমার মাথার দিকে জানালা দিয়ে তাহার হাত বাড়িয়ে খারাপ উদ্দেশ্যে আমার মুখ চেপে ধরে। তখন আমি ভয়ে জোরে চিৎকার করিলে পাশের ঘর থেকে আমার ছেলে এগিয়ে আসে। পরবর্তীতে আমার ও আমার ছেলের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোক আসিলে লম্পট রাসেল দ্রুত ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়।
বাসুদেবপুর গ্রামের আজিবার সর্দ্দারের পুত্র আঃ রহিম জানান,রাসেলের চরিত্র খুব খারাপ।সে এমনটা করে ঠিক করেনি।
এঘটনায় রাসেলের সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার স্ত্রী শিউলী জানান,আমার স্বামীকে বিনা কারনে ওরা মারধর করেছেন। ঐসমস্থ মহিলার চরিত্র খারাপ।তাছাড়া আমার স্বামী আগে খারাপ ছিলো এখন সে ভালো হয়ে গেছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
চাঁদপুর ইউনিয়নের ২ নং ওর্ডের মেম্বার মাঝহারুল ইসলামের সাথে উক্ত বিষয়ে কথা বলিলে তিনি কিছুই জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান।
এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান,বিষটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো।এঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তি যেই হোক না কেন কঠোরত্বর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।