লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় প্রার্থীর অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। সোমবার রাতে ওই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান সাতার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একে অপরকে দায়ী করে মঙ্গলবার সকালে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম হোসেন ও হাবিবুর রহমান সাতা। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান সাতা’র উঠান বৈঠক ছিলো। একই সময় ওই এলাকায় গণসংযোগে যান আওয়ামীলীগের সমর্থিত প্রার্থী সেলিম হোসেনের কর্মীরা। এ সময় দুই প্রার্থীর কর্মীরা মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ওই সংঘর্ষে উভয় প্রার্থীর কমপক্ষে ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় হাসপাতালে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৪ জনকে আটক করেন হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় একে অপরকে দায়ী করে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান সাতা। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম হোসেন দাবী করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাত নেতা হাবিবুর রহমান সাতা বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে তার কর্মীদের উপর হামলা চালায়। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান সাতা দাবী করেন, তার নির্বাচনী প্রচারনায় বাঁধা দিচ্ছে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর লোকজন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।