মাদারীপুরের রাজৈরে ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী আহত হয়েছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। রাব্বানী দাবী করেছে জাল ভোট ঠেকাতে গিয়ে তিনি হামলার শিকার হয়েছেন। তবে প্রতিপক্ষের লোকজন দাবী রাব্বানী প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের গাংকান্দি সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে রোববার বেলা তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গোলাম রব্বানী রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ইউপি নির্বাচনে ইশিবপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রব্বানীর মামা সালাহ উদ্দিন আহমেদ চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। গত কয়েক দিন ধরে রব্বানী তার আপন মামার পক্ষে নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আসছিলেন। রবিবার ঈশিবপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গাংকান্দি সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লার সাথে জাল ভোট প্রদান কেন্দ্র করে কথা কাটাটির এক পর্যায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় হামলায় রাব্বানীর ডান হাতের তর্জনী আঙুল ফেটে যায়। এসময় এসএম টিপু (২৬) নামে আরেক জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে মোশারফ মোল্লার লোকজন প্রকাশ্যে ভোট কেটে নেয়ার চেষ্টা করছিল। পরে আমিসহ কিছু লোক গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে, আমাকে অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়া হয়। আমি থানায় অভিযোগ করব।’ চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ মোল্লা জানান, ‘রব্বানীনহ তার লোকজন নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে।’ রব্বানী আরো বলেন, ‘আমি শীঘ্রই থানায় মামলা দায়ের করব।’
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কেন্দ্রের ভেতর তেমন কোনো কিছু হয়নি। কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভোট সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। কোনো জাল ভোট বা ভোট কারচুপির ঘটনা ঘটেনি। বাইরে কিছু হলে সেটা তো আমার দেখার বিষয় নয়। আমি তা জানিও না।’
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহম্মদ সাদী বলেন, ‘নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। আমি এখনও রাব্বানীর ওপর হামলার কথা শুনিনি। থানায় অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই বিষয় নিয়ে এখনো থানায় কেউ আসেনি।