বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ওঠায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ৮ দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে উপজেলার কয়েক লাখ মানুষর ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, সিলেটের বরইকান্দি ৩৩ কেভি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জগন্নাথপুর উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। সিলেট শহরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বরইকান্দি ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি ঢুকে পড়ে। এতে গত ১৭ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে জগন্নাথপুর উপজেলার বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত শুক্র ও শনিবার থেকে জগন্নাথপুরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। জগন্নাথপুর পৌরশহরসহ উপজেলাজুড়ে হাজার বাজার বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যায়। নিমজ্জিত হয় জগন্নাথপুর বাজারসহ উপজেলার প্রায় সব কটি হাট বাজার।
এদিকে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে মোবাইল চার্জ, নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় যোগাযোগ অচল হয়ে যায়। শহরের আংশিক এলাকায় গতকাল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট কিছুটা সুবিধা পাওয়া গেলেও ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে গত ২১ জুন পৌরশহরের ইকড়ছই এলাকায় একাংশে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ওই দিন ভোররাতে ফের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয় যায়। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সোয়া ১২টার দিকে আবার ওই এলাকা বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব বলেন, জগন্নাথপুরে ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতির সঙ্গে গত ৮ দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। তবে যে সব এলাকা থেকে পানি নামছে ওই সব এলাকায় বিদ্যুৎ চালু করার জন্য সংশ্লিষ্টকে অনুরোধ জানিয়েছি।
বিদ্যুৎ বিভাগের জগন্নাথপুর উপজেলা কার্যালয়ের আবাসিক প্রকৌশলী আজিজুর রহমান জানান, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেটের বরইকান্দি ৩৩ কেভি উপকেন্দ্র পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। এরমধ্যে গত এক সপ্তাহ ধরে জগন্নাথপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির করুণ অবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে গত মঙ্গলবার রাতে ও বৃহস্পতিবার পৌরশহরে আংশিক সংযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।