জয়পুরহাটে হত্যা মামলার ২৩ বছর পর রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এতে দুইটি ধারায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া একই মামলার আরেকটি ধারায় আসামিদেরকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নূর ইসলাম এ রায় দেন। জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দন্ডিতরা হলেন- জেলার পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দীনের ছেলে আতাউর রহমান, তার স্ত্রী মেরিনা বেগম ও একই গ্রামের মৃত হাউস মিয়ার ছেলে আমজাদ হোসেন। রায় প্রদানের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার আজরা সিধুইল গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর মেয়ে মোছা. মঞ্জিলা ওরফে মুরশিদার আত্মীয় আসামি আতাউর রহমান। মোকছেদ আলী মারা যাওয়ার পর মঞ্জিলার কাছে ১৮ হাজার টাকা ছিল। সেই টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে আতাউর মঞ্জিলাকে ভালো জায়গায় বিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পরে ২০০০ সালের ১২ মে আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মঞ্জিলাকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করে এবং এই ঘটনা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও পুলিশের তদন্তে হত্যার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এ ঘটনায় নিহতের মা খালেদা বেওয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।