আসন্ন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বুধবার (২৪ নভেম্বর) জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মাত্র ১০৩ টাকা খরচ করে স্বপ্ন পূরণ হলো জয়পুরহাটের ১৯ তরুণ তরুণী। ঘুষ-তদবির ছাড়াই পুলিশের চাকরি হয়েছে তাদের। মূল্যায়ন হয়েছে মেধা ও যোগ্যতার ফলে হতদরিদ্র বাবা-মা’র স্বপ্ন পূরণ হয়েছে৷ তারা দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল করার আহবান পুলিশ সুপারের।
চাকরি নয় সেবা’ এই মর্মে আমরা যোগ্য প্রার্থীদের বাংলাদেশ পুলিশে স্বাগত জানাচ্ছি।
টাকা ছাড়া চাকরি, তাও আবার পুলিশে? এমনটি কি ভাবা যায়? বিশ্বাস না হবারই কথা। কিন্তু এমনই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে জয়পুরহাট জেলাই।এ জেলা থেকে এবার পুলিশে চাকরি পেয়েছে ১৯ জন ছেলে-মেয়ে। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা ছোটখাট ব্যবসায়ী, দিনমজুরের ছেলে-মেয়েসহ কয়েকজন হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য মেধা ও যোগ্যতায় বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি পেয়েছেন ১০০ টাকার ব্যাংক চালান ও ৩ টাকা মূল্যের আবেদন ফরম পূরণ করে।
গত ২৪ (নভেম্বর) বুধবার রাত ৮টায় জয়পুরহাট জেলা পুলিশ লাইন্স ফলা ফল ঘোষণার পর পুলিশ কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ এসব প্রার্থীরা এভাবেই নিজেদের অনুভূতির কথা জানান। চূড়ান্ত এ ফলাফল ঘোষণা করেন জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা।