ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঝিকরগাছায় স্ত্রীর জেদের কারণে স্বামী ও সন্তানের মৃত্যু

এম.আমিরুল ইসলাম জীবন,যশোর : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১২ অগাস্ট ২০২৪ ০৮:০৮:০০ অপরাহ্ন | খুলনা

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের স্ত্রীর জেদের কারণে স্বামী ও সন্তান পরাপারে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ পারিবারিক কলহের কারণে ১১ মাসের শিশু পুত্র আয়মান হোসেনকে তার পিতা ইমামুল হোসেন (২৮) হত্যা করে নিজেই ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আমজেদ হোসেনের ছেলে ইমামুল হোসেন ২০১৮সালে প্রবাসে যান। প্রায় ৬মাস পূর্বে প্রবাস থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসে বসবাস করছেন এবং বেশকিছু দিনের মধ্যে আবারও প্রবাসে ফিরে যাবেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। ইমামুলের স্ত্রী মমতাজ বেগম (২৩) কে তার পিত্রালয়ে যেতে দিতেন না। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী মমতাজ ও ইমামুলের মধ্যে রবিবার (১১ই আগস্ট) তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে এঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী মমতাজ জোর করে তার ১১ মাসের শিশু সন্তানকে তার বাবা ইমামুলের কাছে রেখে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাড়িয়াদেয়াড়া গ্রামে চলে যান। পরে রাতে শিশু বাচ্চাটি দুধের জন্য কান্নাকাটি শুরু করলে ইমামুল কান্নাকাটি  থামাতে ব্যর্থ হয়ে বাচ্চাটিকে গলাটিপে হত্যা করে নিজেও (ইমামুল) ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকাবাসী ধারণা করেছেন। তবে নিহতের মাতা রহিমা বেগম জানান, আমার বৌমা মমতাজ বেগম আর ছেলে ইমামুল দু'জনে বৌমার বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে গন্ডগোল করে। একপর্যায়ে ছোট্ট শিশুটিকে ফেলে রেখে বৌমা বাপের বাড়িতে চলে যায়। দিনের বেলায় আমি বাচ্চাটাকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে কোন রকম রেখেছিলাম। কিন্তু ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে আমার ছেলে এনামুল ঘুমায়। সকালে উঠে দেখি আমার ছেলের মৃত্যু দেহটি ঘরের ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। আর বিছানায় আমাদের ছোট্ট আয়মানের মৃত্যু দেহ পড়ে রয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ বিএম কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, আজ (সোমবার) সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় তথ্য মতে আমরা জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে এই আত্মহত্যা। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চালান রয়েছে। এঘটনায় থানাতে একটি অপমৃত্যু ও আর একটি হত্যা মামলা হয়েছে। উক্ত লাশ দুটি ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।




সবচেয়ে জনপ্রিয়