৯ দফা দাবি আদায়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গণপদযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এসময় আটক করা হয় পাঁচ শিক্ষার্থীকে। তবে তাদের দুই ঘণ্টা পর ছেড়ে দেন পুলিশ।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক করে। পরে ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের থানায় ডেকে তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কলেজের সামনে থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীরা হলেন—মাহফুজুর রহমান মাহফুজ (২৬), বায়েজিদ হোসেন (২০), দুলাল হোসেনের (২২), মুয়াজ বিন সাইফুল (২৩) ও সাদিকুজ্জামান (২০)।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে শহরের সরকারি মাহতাবউদ্দিন কলেজ মাঠে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ করে। এসময় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের লাঠির আঘাতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পুলিশ ৫ জন সাধারণ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। পরে তারা শহরের নলডাঙ্গা ভ্যানস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় বক্তারা আটক শিক্ষার্থীদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তির আল্টিমেটাম দেয়।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনে থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রেরণা একাত্বর চত্বরে গিয়ে সমাবেশ হয়। পরে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আন্দোলনকারীরা জড়ো হলে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তারা, তাদের দাবী মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেত্রী শারমিন সুলতানা, তানভির হাসান ও হুসাইন বক্তব্য রাখেন।
এদিকে আন্দোলনকে ঘিরে জেলায় নাশকতা প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ। সকাল থেকেই জেলা শহরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও শহরে প্রবেশে কড়াকড়ি অবস্থান নেয় জেলা পুলিশ।