ঢাকা, রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১
চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও নার্স

ঝিনাইদহে শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া জ¦রসহ শ^াসতন্ত্রের রোগের প্রকোপ বেড়েছে

বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:০৫:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ঝিনাইদহে শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়ড়িয়া, জ¦রসহ শ^াসতন্ত্রের রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিন সদর হাসপাতালে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালে শয্যা আর জনবল সংকটে বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে ও চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। হাসপাতালের কক্ষগুলোর মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে শিশুদের। প্রতিদিন নতুন করে শিশু ভর্তি হওয়ায় দিন দিন জায়গার সমস্যা বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে যত শিশু রোগী ভর্তি আছে তার বেশিরভাগই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। ৪০ শয্যার বিপরিতে চারগুন বেশী রোগী ভর্তি থাকায় স্বল্প জনবলে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

গত অক্টোবর মাস থেকে শিশু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে নতুন করে ৫০ থেকে ৬০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। বেশিরভাগ শিশু রোগীর ৭০ ভাগই নিউমোনিয়া, জ¦রসহ শ^াসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত। এমন সমস্যায় আক্রান্ত শুধু সদর হাসপাতালাই নয়, সরকারি শিশু হাসপাতালসহ স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতেও বেড়েছে এ রোগীর সংখ্যা।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের এলাকার আলাউদ্দিন জানান, আমার সন্তানের জ¦রসহ শ^াসতন্ত্রের সমস্যা হলে হাসপাতালে আনলে দেখি রোগী রাখার কোন বের্ড খালী নেই। তাই কোন উপায়ন্ত না পেয়ে অবশেষে হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা সেবানিয়ে বাড়ীতে ফিরে যাই।

লাবনী খাতুন নামের এক নার্স জানান, হাসপাতালে কম সংখ্যক নার্স নিয়ে এত রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। তারপরও আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি সকল রোগীর চিকিৎসা দিতে।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (শিশু ওয়ার্ড) ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের সচেতনতার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত।

স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি রয়েছে ১৪০ জন। গত এক মাসে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ার সাথে অন্যান্য সমস্যায় ২ টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মাত্র একজন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা।