নেত্রকোনা সদর উপজেলার দুগিয়া আব্বাছিয়া এমদাদুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার হিসাব রক্ষক সাদেকুর রহমানকে (৪৭) মাদ্রাসার বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে পুলিশ তাকে দুগিয়া বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়।
অভিযোগে জানা গেছে, নেত্রকোনা সদর উপজেলার দুগিয়া আব্বাছিয়া এমদাদুল উলুম ফাজিল মাদ্রসায় সাদেকুর রহমান নিন্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কাজ করেন। তিনি মাদ্রাসার প্রয়োজনে ২০১৭ সালের ২০ মে থেকে স্বপদের অতিরিক্ত হিসেব রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এরই মধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারী থেকে একই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাদ্রাসার হিসেবে গরমিল দেখা দেয়। পরে এ জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে ৪ লাখ ২৩ হাজার ৮০৬ টাকা ব্যাংক হিসেবে জমা না দিয়ে তিনি নিজ হেফাজতে রেখে আত্মসাত করেন। ওই টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বললে তিনি সময়ক্ষেপন করে এক পর্যায়ে অস্বীকার করেন। এ ছাড়া সাদেকুর রহমানের কর্তব্য কাজে অবহেলা ও উদাসীতার কারণে শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসার ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৪৫৫ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। সাদেকুর রহমান চাকুরী নীতিমালা লঙ্গন করে ২০১৪ সালের ২৩অক্টোবর ৩৭ বছর বয়সে ওই মাদ্রসায় চাকুরি নেন। অথচ সরকারী নিয়োগ নীতিমালায় বয়সসীমা ছিল অনুর্ধ ৩০ বছর। এ ঘটনায় দুগিয়া আব্বাছিয়া এমদাদুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার অফিস সহায়ক মো. মাসুদ রানা বাদী হয়ে ৭ জুলাই নেত্রকোনা সদর আদালতে সাদেকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত এ ব্যাপারে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নেত্রকোনা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশ বুধবার রাতে সাদেকুর রহমানকে দুগিয়া বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে।
দুগিয়া আব্বাছিয়া এমদাদুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ.কে.এম.আজহারুল ইসলাম বলেন, কর্তব্য কাজে হিসেব রক্ষক সাদেকুর রহমানের অবহেলা, অধক্ষতা ও উদাসীনতার কারণে মাদ্রাসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। অধ্যক্ষ আ.ফ.ম. মহিউদ্দিন খান বলেন, সরকারী নীতিমালা লঙ্গন করে জালিয়াতীর মাধ্যমে ৩৭বছর ৭মাস বয়সে বয়সে সাদেকুর রহমান চাকুরি নিয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নেত্রকোনা থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সাদেকুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।