টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিয়ের ৩ সপ্তাহের মাথায় ২০ বছরের ১ যুবতী, গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ২১ আগষ্ট রবিবার দুপুরে উপজেলার কোনাবাড়ির মো. আরশেদ আলীর মেয়ে, আশা (২০), বাবার বাড়িতে ঘরের ধর্নার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ দিন আগে উপজেলার দুয়াজানি গ্রামের মো. সজীব আহাম্মেদের সাথে বিয়ে হয়েছিল।
আজ বাড়িতে আশার ভাই আনুমানিক ২ টা এর সময়, দুপুরের খাবার জন্য ঘরে ডাকতে গেলে দরজা বন্ধ পায়। বোনকে ডাকলে কোন উত্তর না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে বোনকে ধর্নার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পায়।
পরে ধর্না থেকে ওড়না কেটে নামিয়ে দুপুর ২.৫৩ মিনিটের সময় নাগরপুর সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার ফারুক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয় নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি খবর পেয়ে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মেয়ের ভাই ও তার পরিবার, ডাক্তার সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে কথা বলি। কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, মেয়েটিকে আমাদের কাছে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু চলমান রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।