সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। গত তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই উপজেলার। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাহিরপুর উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। অপরদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলায় টাঙ্গুয়া হাওরসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকাগুলোতে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রায়হান কবির বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এই নির্দেশনা জারী করেন।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, উপজেলা সীমান্তের যাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ৮.০৫ মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নিন্মাঅঞ্চলের বসতবাড়ি,হাটবাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে।৷ উপজেলার ৩০টি বন্যাশ্রয় কেন্দ্র ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বন্যাশ্রয় কেন্দ্রে কেউ ওঠেনি।
উপজেলার সদর বাজার,সুলেমানপুর বাজার, বালিজুরি বাজার,পাতারগাও বাজার,দ কাউকান্দি বাজার, একতা বাজার, নতুন বাজার ও শ্রীপুর বাজার পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিন্মাঅঞ্চলের মানুষ জন নিজ নিজ বাড়ি ঘরে অবস্থান করছে হাজার হাজার মানুষ।
তাহিরপুর উপজোর বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়া থাকার কারণে বিদ্যুৎ নেই আর যাদের বাড়িতে সোলার প্যানেল আছে সেগুলোও চার্জ হচ্ছে না ফলে অন্ধকারে রয়েছে উপজেলাবাসী। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভাটি তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্দা রুবেল মিয়া জানান, পাহাড়ি ঢলের পানিতে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর-বালিজুরি-শক্তিয়ারখলা ১০০ মিটার সড়ক পানির নীচে থাকায় তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের সদস্য ও উজান তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্দা তোজাম্মিল হক নাসরুম জানান, বসতবাড়ির চারপাশে বন্যার পানি। গত দু’দিন ধরে ঘরে বিদ্যুৎ নেই বাজারে জেনারেটরের দোকান থেকে টাকার বিনিময়ে মোবাইল চার্জ করতে হচ্ছেো।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবির বলেন, উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা বিতরণ করবে। সীমান্তের যাদুকাটা নদীর বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।