ঠাকুরগাঁওয়ে চঞ্চল্যকর কৃষক তোফাজ্জল হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, রানীশংকৈলের বলাঞ্চা গ্রামের কমির উদ্দীনের ছেলে নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইউনুস আলী ও বদির উদ্দীনের ছেলে সেকেন্দার আলী। উপজেলার চন্দন চৌহাট গ্রামের কতিব উদ্দীনের ছেলে আব্দুল জলিল, বালিয়া ডাঙ্গী উপজেলার ভানোর বালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কোফিল উদ্দীন। প্রত্যেকে এক হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেন আদালত।
পলাতক রয়েছে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি সিকেন্দার আলী ও নজরুল আলী।
অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় খলিলুর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন ও মজিবর রহমানকে খালাস দিয়েছে আদালত।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবি আব্দুল হামিদ।
আইনজীবি আব্দুল হামিদ বলেন, ১২ বছর পুর্বে অর্থাৎ ১৪ মার্চ ২০১০ সালে ভুট্টা ক্ষেতে একটি মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া গেলে বালিয়াডাঙ্গি থানার এস আই মোঃ আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন। যার তদন্তভার একই থানার অপর এস আই মোঃ আতিকুল ইসলাম এর উপর অর্পিত হলে তিনি সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করলে গ্রেফতারকৃত আসামীর বর্ননা মতে একটি ইট ভাটা হতে একটি মস্তকের কঙ্কাল উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার এস আই ফরহাদ আলীর উপর অর্পিত হলে তিনি ০৮ জনকে আসামী করে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে জেলা সিআইডি'র পরিদর্শক মোঃ মোজাম্মেল হক মামলাটির অধিকতর তদন্ত করে ০৮ জনকে প্রাথমিক ভাবে দোষী করে পুনঃ চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তকালে আসামী মোঃ ইউনুস আলী, মোঃ আব্দুল জলিল ও মোঃ কফিল উদ্দীন ত্রয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এই মামলায় রাস্ট্রপক্ষে মোট ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আমরা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবিরা এ রায়ে সন্তুষ্টি।