ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়াতে বিএনপি'র দলীয় কার্যালয়ে হঠাৎ করেই দলীয় সাইনবোর্ডের পরিবর্তে দেখা যাচ্ছে কৃষি অফিসের সাইনবোর্ড। তবে কে বা কারা লাগিয়েছে এই সাইনবোর্ড তা জানা নেই কারোর।
বুধবার সকাল থেকেই রুহিয়া থানা বিএনপির কার্যালয়ে এ সাইনবোর্ডটি দেখতে পান স্থানিয়রা। এরপর থেকেই তুমুল আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় জেলাজুড়ে। দলীয় কার্যালয়ে এমন সাইবোর্ড দেখে ক্ষুদ্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা। ফলে স্থানীয়রা রয়েছে হামলা ও সংঘর্ষের শঙ্কায়।
এর আগে গত ৩ তারিখ বিকেলে একই দিনে রুহিয়া থানা বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ও থানা মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় রুহিয়া বিএনপি কার্যালয়টিতে অগ্নি সংযোগ করে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।
রুহিয়া থানা বিএনপি কার্যালয়ের সামনের বেশ কয়েকজন দোনানদার জানান, আগের দিন (মঙ্গলবার) রাতেও আমরা যখন দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরি তখনও এ সাইনবোর্ডটি আমরা দেখিনি। সকালে দোকানে আসার পর সাইনবোর্ডটি দেখতে পেয়েছি। গভীর রাতেই এই সাইনবোর্ডটি লাগিয়েছে কেউ।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান বলেন, প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এ অফিসটি আমরা ব্যবহার করে আসছি। আব্দুল জব্বার চৌ: নামের একজনের নিজস্ব দান করা জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় এ অফিসটি। গত ৩ তারিখে রুহিয়ার দলীয় কার্যালয় ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে আওয়ামীলীগ। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরই মধ্যে আজ সকালে দেখি সেই কার্যালয়ে ধ্বংস স্তুপের উপরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রুহিয়া শাখার একটি সাইনবোর্ড। আমি অবাক হয়ে যাই। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারের সাথে কথা বলেছি তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেননা বলে জানিয়েছেন। প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে। যারা এমন কার্যকলাপ করে দলের ভামূর্তি নষ্ট করেছে তাদের যেন আইনের আওতায় আনা হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. আব্দুল আজিজ বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই সাইনবোর্ডের বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। এ ধরনের সাইনবোর্ড দেওয়া আমাদের কোন সুযোগ নেই। বিভাগীয় পর্যায়ে আলোচনা করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি ভেবে দেখবো।
রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা বলেন, সাইনবোর্ড কারা লাগিয়েছে জানিনা৷ এটা কৃষি সম্প্রসারণের বিষয় যে তাদের জায়গা সেখানে আছে কিনা। ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ যে কোন পরিস্থিতি ঠেকাতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।