ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ধনতলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিধি মোতাবেক কমিটি গঠন ও নিয়োগ-বাণিজ্য বন্ধ চেয়ে এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরিত অভিযোগ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দিয়েছেন আলাউল কবির নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগ আমলে নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার সিদ্দিকুর রহমান গত ১০ এপ্রিল বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) দায়িত্ব দিয়েছেন।
এদিকে, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে আগামী ১২ মে ইউএনওর কার্যালয়ে শুনানির দিন ধার্য করে দুপক্ষকেই হাজির হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছেন ইউএনও। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও যোবায়ের হোসেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে , নাজরুল ইসলাম সুপারিনটেডেন্ট আমিরুল ইসলাম কে ম্যানেজ করে ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এবং ২০২১ সালে সভাপতি নজরুল ইসলাম তার ছোট ভাই এবং সুপারিনটেনডেন্ট আমিরুল ইসলাম তার ভাগিনাকে মাদ্রাসায় গোপনে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী আলাউল কবির জানান, নিয়মবহির্ভূতভাবে বারবার অ্যাডহক কমিটি গঠন করে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে নজরুল ইসলাম সভাপতির পদ দখল করে রেখেছেন। গত বছরের জানুয়ারি মাসে একটি পকেট কমিটি গঠন করে মাদ্রাসা বোর্ডে অনুমোদনের জন্য দাখিল করেন সুপারিনটেনডেন্ট আমিরুল ইসলাম ও সভাপতি নজরুল। সেই কমিটি মাদ্রাসা বোর্ড অনুমোদন দিলে পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব পান নজরুল। কাগজে কলমে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন দেখানো হলেও বাস্তবে কোনো নির্বাচন হয়নি।
স্থানীয় নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘মাদ্রাসার শিক্ষার মান ঠিক রাখতে বিধি মোতাবেক পরিচালনা কমিটি গঠন করা হউক। এটা এলাকার সকলের দাবি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আলাউল কবিরের সঙ্গে আমার পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন মহলে তিনি অভিযোগ করছেন। কমিটি গঠন নিয়ম মেনেই হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং তাঁরাই মাদ্রাসার জমি অবৈধভাবে দখল করে দোকান নির্মাণ করেছেন।’
মাদ্রাসার সুপার আমিরুল ইসলাম ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান দাবি করেন, নিয়ম মেনেই কমিটি গঠন হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চিঠি পাওয়ার পর তদন্ত করতে অভিযোগকারী এবং মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতিকে অভিযোগের শুনানিতে আগামী ১২ মে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’