ফুটবলের রেকর্ডবুক দিনকে দিন শুধুই মেসিময়। রেকর্ডের পাতায় গোল, অ্যাসিস্ট কিংবা হ্যাটট্রিকের প্রায় সকল মাইলফলকে তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক করেছেন জাতীয় দল থেকে ক্লাব দলে। ইন্টার মায়ামিকে নিয়ে গেছেন রেকর্ড উচ্চতায়। মেজর লিগ ফুটবলের সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট এখন তাদেরই।
তিনের ধাঁধাঁয় আটকা পড়েছেন মেসি। ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন আরও ভয়ংকর রূপে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে হ্যাটট্রিকের পর মেজর লিগ সকারে মায়ামির হয়েও করলেন তিন গোল। দুই ম্যাচের মাঝে পার্থক্য মাত্র তিনদিন।
মেসি খেলবেন, গোল করবেন এটাই তো স্বাভাবিক। একইসঙ্গে রেকর্ডবইয়ের পাতাও যে ওলোটপালট হবে না তা কি করে হয়! মায়ামির হয়ে ম্যাচেই যেমন নিজেকে নিলেন আরও একধাপ উঁচুতে।
ফুটবল বিশ্বে পেনাল্টিহীন গোলের সংখ্যায় সবার চেয়ে উপরে এখন ক্ষুদে জাদুকর। ৭৪০ গোলে তালিকার এক নম্বরে তার নাম। এই রেকর্ডে কাকে পেছনে ফেললেন এই আর্জেন্টাইন অনুমান করুন তো! তিনি আর কেও নন, পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ৭৩৯ গোলে তালিকার ২য় স্থানে তার নাম। কদিন আগেই আন্তর্জাতিক ম্যাচের হ্যাটট্রিকেও সিআরসেভেনকে ছুঁয়ে ফেলেছেন এলএমটেন।
হ্যাটট্রিক নিয়েই আরও একটি চমৎকার তথ্য জানা যাক। ফুটবলে পেনাল্টির সাহায্য ছাড়াই হ্যাটট্রিকের ঝুড়িতে মেসির নামের পাশের সংখ্যাটি ৪৪। যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী রোনালদোর নামের পাশে এই হিসাবে হ্যাটট্রিক সংখ্যা মাত্র ২৮টি।
অথচ নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে এদিন মেসিকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান মায়ামি কোচ। তাতে কি, ৭৮ মিনিটে নিজের প্রথম গোলের পর ৮৯ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ন করেন এই ক্ষুদে জাদুকর।
শুধু মেসিই না, রেকর্ড গড়েছে মায়ামিও। শেষ ম্যাচে যেই নিউ ইংল্যান্ডকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মেসির দল, তারাই ছিল মেজর লিগের এতদিনের সর্বোচ্চ পয়েন্টের রেকর্ডধারী। তাদের ৭১ পয়েন্ট পেছনে ফেলে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে মেসি-সুয়ারেজদের মায়ামি।
মেসি জাদুকরী পারফরম্যান্সের দিন হাতে তুলেছে পূর্ব নির্ধারিত সাপোর্টার্স শিল্ড। ব্যক্তিগত হিসাবের দিক থেকে যা মেসির ক্যারিয়ারের ৪৬তম ট্রফি।
বায়ান্ন/একে