ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১
ময়মনসিংহে আইটি/হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রতিমন্ত্রী পলক

দেশে আইটি খাতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ যুবকের কর্মসংস্থান হবে

এম ইদ্রিছ আলী, ময়মনসিংহ : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২২ জুন ২০২২ ০৭:৫০:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মাত্র তের বছরে স্বল্পোন্নত একটি দেশকে কিভাবে প্রযুক্তি নির্ভর মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা যায় বাংলাদেশ তার নজির স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন আর কেবল শ্রম নির্ভর নয় বরং মেধাভিত্তিক প্রযুক্তি নির্ভর। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে আইসিটি খাত পোশাক খাতকেও ছাড়িয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইটি পণ্য এখন ৮০টি দেশে রপ্তানি করে বছরে ১.৪ বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এ খাতে ৩০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে এবং বছরে কমপক্ষে ৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে। 

প্রতিমন্ত্রী বুধবার ময়মনসিংহ সদর উপজেলার রহমতপুর নামক স্থানে বারোটি জেলায় আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় হাইটেক পার্ক নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের এড. তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি। 

ময়মনসিংহ হাইটেক পার্ক নির্মাণ শেষ হলে প্রতিবছর ৩ হাজার লোকের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে উল্লেখ করে সভাপতি জুনাইদ আহমেদ পলক আরো বলেন, ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ একর জমির উপর নির্মিতব্য এই হাইটেক পার্কে প্রতিবছর ১ হাজার লোককে আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৭ তলা বিশিষ্ট এই ভবনে প্ল্যাগ এ্যান্ড প্লে, ট্রেনিং এন্ড ইনফিউবেশন, স্টার্টআপ ফ্লোরসহ কয়েকটি ফ্লোর থাকবে। থাকবে ফ্রি বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা। এই হাইটেক পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে ময়মনসিংহের তরুন প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। ফলে তারা চাকরি খুঁজবে না বরং চাকরি দিবে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দেন তখন অনেকে হাসাহাসি করেছিল কিন্তু আজ সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছে সবাই। এই হাইটেক পার্ক স্থাপন সেই ডিজিটাল বাংলাদেশেরই ফলিতরূপ। প্রধানমন্ত্রী জাতিকে স্বপ্ন দেখান এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। 

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম মনিরা সুলতানা এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি মো. শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। 

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেন এ হাই-টেক পার্কটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার মাধ্যমে ময়মনসিংহের জনগনের দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ হলো। এ হাই-টেক পার্ক ময়মনসিংহ অঞ্চলকে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ নগরীতে পরিণত করবে। এর মাধ্যমে এলাকায় তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে উঠবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ময়মনসিংহের তরুণ প্রজন্ম তাদের মেধার যথাযথ বিকাশ ঘটিয়ে কর্মসংস্থানের জন্য নিজেকে তৈরি করার পাশাপাশি অন্যদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে বলে মেয়র টিটু প্রত্যাশা করেন। 

স্বাগত জানান বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ। ধন্যবাদ জানান জেলা পর্যায়ে আইটি/হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ, কে, এম, ফজলুল হক।  পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ল্যাপটপ বিতরণ করেন।