শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, ‘ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়া হয়নি। এটা অপপ্রচার। ধর্মকে কোনোদিনই বাদ দেওয়া হয়নি, ধর্মশিক্ষা আগেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও নিশ্চয়ই থাকবে। ধর্ম তো আমাদের নৈকিতা, মূল্যবোধ শেখার মূলক্ষেত্র। কাজেই ধর্মশিক্ষা আছে, থাকবে। অন্যান্য বিষয়ের মতো ধর্মশিক্ষাও এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে শুধু পড়ে মুখস্ত করাই নয়, সেটাকে যেন বুঝে আত্মস্থ করে, চর্চা করে। কাজেই ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
সোমবার সিলেট সার্কিট হাউজে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় নিজের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “যারা প্রশ্ন করছেন, তারা কী আমাদের নতুন কারিকুলামের বা এই ২০২২ সালেও যে বই ছিল, সে বইগুলো কী পড়ে দেখেছেন? একটু দয়া করে পড়ে দেখবেন, তাহলে আর প্রশ্ন করতে হবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে অপব্যবহার করে একটা মহল, একেবারে চিহ্নিত মহল এইসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমাদের শিক্ষায়, শিক্ষা পরিকল্পনায় অগ্রসরই হতে না পারতাম, যদি আমরা শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার কাজে সাফল্যই না থাকতো, তাহলে অতিসম্প্রতি জাতিসংঘের সমীক্ষায় বের হলো দক্ষিণ এশিয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে বাংলাদেশ, এটা তো নিশ্চয়ই হতো না। আমাদের কিছু লোক আছে, ছিদ্রান্বেষী বলে তাদেরকে, ভালো কিছু হলেও বলে ‘কিন্তু’ ‘তবুও’..। এদেরকে বাদ না দিলে সামনে এগোনো যাবে না।”
পরে সভায় উপস্থিত শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করার সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে অপপ্রচার চালায় বই থেকে মহানবীর জীবনী বাদ দেওয়া হয়েছে, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বাদ দেওয়া হয়েছে, এগুলো তো সঠিক না। ধর্ম নিয়ে একটা অপপ্রচার করা হচ্ছে, এটা ঠিক না। আগের কারিকুলামে যা ছিল, সেগুলো বাদ দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় পড়ে পড়ে মুখস্ত করে পরীক্ষা দিয়েছি। তারপর সেটা কিভাবে কাজে লাগাতে হয়, তা আর খুব ভালো শিখিনি আমরা। এখন বাচ্চারা নতুন কারিকুলামে যা কিছু শিখবে করে করে শিখবে। কাজেই তার মুখস্ত করার প্রয়োজন নেই।’
দীপু মনি বলেন, ‘এখন ধর্মের মর্মবাণীটা শুধু বোঝা না, ধর্মটাকে সঠিকভাবে সে চর্চাও করতে শিখবে। এটা তো ভালো। যারা ধর্মের বিষয়ে যারা সমালোচনা করছে, তারা ধর্মপ্রীতি থেকে বলছে না। তারা ধর্মটাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ধর্মেরই ক্ষতি করছে। এইসব লোকদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে অপপ্রচার চলছে, সেগুলোকেও প্রতিহত করতে হবে।’