ভ্যান গাড়ীতে করে কেউ বিক্রি করছে সবজি কেউ বিক্রি করছে চটপটি ফুসকা। কেউ কেউ পসরা সাজিয়ে বসেছে বাহারী রকমের খাবার ও জিনিসপত্র নিয়ে। শুধু ভ্যান গাড়ীতে নয় বসেছেন একেবারে মোড়া পেতে বিক্রি করেন কোয়েল পাখির ডিম হাঁসের ডিম পেয়ারা ও নানা ফল ফলাদি। দেখে মনে হয় এটা ব্যস্ত কোনো হাট তবে এটা কোনো মার্কেটের সম্মুখ জায়গা নয় কোনো ফুটপাতের জায়গাও নয় এমন চিত্র খোদ মহাসড়কের।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের একটি চতুর্মুখী ব্যস্ত জায়গা নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা মোড় এই জায়গাটিকে ঘিরে আছে চারটি ইউনিয়ন প্রতিদিন লাখো মানুষের চলাচলের স্থান পাঁচদোনা মোড়। স্থানীয় হাজার হাজার মানুষের সারাদেশে চলাচল শুরু হয় এই পাঁচদোনা মোড় থেকেই আর এমনই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটি অবৈধ দখলদারদের দখলে চলে গেছে। একেবারে মহাসড়ককে এভাবে দখল করে এখানে প্রতিদিনই বসে এসব দোকানপাট আর এর জের দেন পথচারীরা।
পাঁচদোনা মোড়ের একেবারে গা ঘেষেই রয়েছে নির্দিষ্ট কাঁচা বাজারসহ মাছ-মাংসের বড় বাজার এর আধা-কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে আরও একটি নির্দিষ্ট বড় বাজার তবুও মহাসড়ক কেনো এভাবে দখল হলো প্রশ্ন যাতায়াতকারী ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষদের। মনে তিব্র ক্ষোভ নিয়ে অনেক পথচারীরা বলেন, পাঁচদোনা মোড়েই রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ বক্স এই পুলিশ বক্সে আসেন ট্রাফিক পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারাও এবং এই মোড়ের আধা-কিলোমিটারের মধ্যেই আছে পুলিশ ক্যাম্প প্রশাসনের এমন ঠিক নাকের ডগায় মহাসড়ক দখল কে ভালো চোখে না দেখে নানা সমালোচনা করছেন সাধারণ মানুষ দুষছেন রাজনৈতিক নেতা জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে।
এই অবৈধ দখলদার কোনো দোকানীরাই মুখ খুলতে নারাজ পাশে বাজার থাকার পরও কেনো এই দখলবাজি এসব প্রশ্নের উত্তর তারা দিতে চান না। তবে চাইলেই যে কেউ এখানে এমন দোকান পেতে বসে ব্যবসা করতে পারবেনা লাগবে দখলবাজদের অনুমতি যে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে চলে এসব দোকান।