ঢাকা, শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

নিখোঁজের ৫ দিন পর কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক রুবেলের লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৭ জুলাই ২০২২ ০৬:৩৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

এক এক করে নিখোঁজের ৫ দিন পর জীবিত জেলার কুমারখালী উপজেলাতে সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের লাশ উদ্ধার করলো পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই)  কুষ্টিয়া কুমারখালী পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ডের তেবাড়িয়া গ্রামের নির্মাণাধীন গড়াই নদীতে গোলাম কিবরিয়া ব্রিজের নীচ থেকে সাংবাদিক রুবেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ, নিশ্চিত করেন করেন নিহতের পরিবার ও কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার।

 

পরিবার ও সহকর্মী সূত্রে জানা গেছে,  সাংবাদিক  হাসিবুর রহমান রুবেল গত ৩ জুলাই আনুমানিক রাত ০৯ টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়(একতারা চত্বর)ঃতার পত্রিকার অফিসে যাওয়ার সময় একটি ফোন কল পেয়ে গতি পরিবর্তন করে নিখোঁজ হওন। অফিসের পিয়নকে বলেন আমার আসতে একটু সময় লাগবে। এর পর থেকে তার নিজ ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের মানুষ ও সহকর্মীরা তাকে অনেক খোজাখুজি করে না পেলে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।"

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আজ (বৃহস্পতিবার)  দুপুর আনুমানিক দেড়টার সময় গড়াই নদীর নির্মাণাধীন ব্রীজের নিচে একটি মরদেহ দেখে স্থানীয় পুলিশে খবর দেয়। এরপর পরিবারের মানুষ মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনে ঘটনার স্থানে গেলে তার পোশাক, ম্যানিব্যাগ ও পত্রিকার পরিচয়পত্র দেখে মরদেহটি সাংবাদিক রুবেলের বলে নিশ্চিত করেন তার ছোট ভাই।

 

নিহত সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল(৩৫) স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ও কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টর্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।

 

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, "একটি অজ্ঞাত লাশ পাওয়ার কথা শুনে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মরদেহটি উদ্ধারশেষে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দেন তিনি।"

 

এদিকে সাংবাদিক রুবেল হত্যাকান্ড নিয়ে জেলার সকল সাংবাদিক ও সচেতন মানুষের মধ্যে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেন, রুবেল নিখোজ হওয়ার এই পাঁচ দিন পুলিশের ক্রাইম ইউনিট তার মোবাইল ফোন ট্যাগ করে রুবেলের উপস্থিতির স্থান সনাক্ত করতে পারতো। অনেকেই লিখেছেন এটা পুলিশের চরম ব্যার্থতা। তবে যাই হোক জেলার সাংবাদিক ও সচেতন মহল রুবেল হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি দাড়করানোর আহবান জানান।