নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ টিংকু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নানা ধরনের আসবাবপত্র নিজ বাসায় নিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়ন পরিষদে। তবে চেয়ারম্যানের দাবি এগুলো তার নিজস্ব টাকায় কেনা।
২০১৬ সালের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ টিংকু তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ওই ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফ হোসেনের কাছে গত ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজিত হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর সে ওই পরিষদ থেকে চেয়ার, টেবিল, টিভি, এসি, পর্দা, সোফা, র্যাক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ বিভিন্ন প্রকার আসবাপত্র নিয়ে গেছে নিজ বাড়িতে। এমনটি অভিযোগ করেছেন সদ্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত আলতাফ হোসেন।
আলতাফ হোসেন বলেন, টিংকু নির্বাচনে পরাজয় বরণ করে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। সে একটি পরিষদের আসবাবপত্র নিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছে এটা কোন সভ্য লোকের কাজ নয়। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সে জাতির জনকের ছবিসহ ১০ টি চেয়ার, ১টি টেবিল, দুইটা সোফা, একটি এসি, একটি টিভি ও তার ট্রলি, জানালা দরজার পর্দা, কার্পেট, জুতার র্যাক ইত্যাদি আসবাবপত্র নিয়ে গেছে। টিংকু পরিষদ থেকে এসব নিয়ে যাওয়ার পূর্বে শার্শা থানার ওসি তাকে ফোন করে বলেছে পরিষদ থেকে টিংকু তার জিনিস পত্র নিয়ে যাওয়ার সময় যেন কোন ঝামেলা না হয়।
সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ টিংকুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে সব জিনিসপত্র নিয়ে এসেছি তার একটিও ওই পরিষদের নয়। আমার নিজস্ব অর্থায়নে এসব আসবাপত্র ক্রয় করা। আমার জিনিস যদি না হতো তাহলে ইউনিয়নের সচিবই আমাকে বাধা দিত এসব নেওয়া যাবে না। তিনি আরো বলেন, করোনার সময় আমার নিজস্ব অর্থায়নে ওই পরিষদে অনেক চাল ডাল ছিল তাও আমার লোক আনার সময় আলতাফ হোসেনের লোক বাঁধা দিয়েছে। এগুলো সরকারি টাকায় ক্রয় নয়, আমার নিজস্ব টাকায় ক্রয় করা।
কায়বা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আবু জাফর বলেন, চেয়ারম্যান টিংকু যে সব মালামাল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়ে গেছে এগুলো তার নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয় করা। যার জন্য আমরা নেওয়ার সময় বাধা দিতে পারি না।
২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন হাসান ফিরোজ টিংকু। কিন্তু চলতি বছরের ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফ হোসেনের কাছে পরাজিত হন।