নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম গ্রুপের হামলায় বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতা মারাত্মক জখম হয়েছেন। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইল সরকারি উচ্চ (বালক) বিদ্যালয়ের সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
আহতরা হলেন-মাইজপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক হাবিবুল বাশার সুমন (২৮), ওয়ার্ড যুবদল সদস্য নাঈম হোসেন (২৩) এবং মাইজপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী লিপু সিকদার (২৫)। এর মধ্যে ধারালো অস্ত্রের কোপে সুমনের ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে ঝুলে আছে। এছাড়া তার পিঠেও রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। সুমনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া নাঈমের ঘাড় ও মাথায় কোপ এবং লিপুর পিঠে রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাদের নড়াইল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন-মাইজপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক হাবিবুল বাশার সুমন (২৮), ওয়ার্ড যুবদল সদস্য নাঈম হোসেন (২৩) এবং মাইজপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী লিপু সিকদার (২৫)। এর মধ্যে ধারালো অস্ত্রের কোপে সুমনের ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে ঝুলে আছে। এছাড়া তার পিঠেও রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। সুমনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া নাঈমের ঘাড় ও মাথায় কোপ এবং লিপুর পিঠে রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাদের নড়াইল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মী ও ভুক্তভোগীরা জানান, সোমবার নড়াইল চৌরাস্তা এলাকায় অনুষ্ঠেয় নড়াইল জেলা বিএনপির সভায় আসার পথে দলীয় কার্যালয়ের কাছেই বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে-জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম সমর্থক জেলা যুবদলের সভাপতি মশিয়ার রহমান এবং কৃষকদলের বহিষ্কৃত নেতা মোস্তফা কামাল মোস্তর নেতৃত্বে আব্দুস সোবহান, তৌকির আহমদে পিটু, সোহরাব বিশ্বাস ও ইসমাইল সরদার বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত তিন নেতা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের সমর্থক বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের বাড়ি নড়াইলের মাইজপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়। তারা মাইজপাড়া এলাকা থেকে জেলা বিএনপির সভায় আসছিলেন।
এ ঘটনায় বিএনপির দুইগ্রুপের সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও তিন নেতাকে কুপিয়ে জখম করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। দলে কোনো বিভক্তি নেই বলেও দাবি করেন তারা।
এদিকে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট কৃষকদলের নেতা মোস্তফা কামাল মোস্ত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামকে লক্ষ্য করে গুলি করায় অভিযোগ মোস্তকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক খান মাহমুদ আলম এবং জেলা বিএনপির ৩ নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস রহমানের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে মল্লিকপুর গ্রামে দুইজন হত্যাকান্ডের শিকার হন। হত্যাকান্ডের শিকার দুই ব্যক্তি ফেরদৌস রহমানের সমর্থক। এ ঘটনায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর যুবদল নেতা খান মাহমুদ আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবার দুপুরে জেলা বিএনপির আয়োজনে শহরের চৌরাস্তা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন-জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী মন্ডল, আসাদুজ্জামান জামান, যুগ্মসম্পাদক আলী হাসান, সৈয়দ মোর্শেদ তৌহিদ সোহেল, মাহবুব মোর্শেদ জাপল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ, নড়াইল পৌর বিএনপির আহবায়ক আজিজার রহমান, সদস্য সচিব রেজাউল খবির রেজা, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক নবীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মশিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক সায়দাত কবীর রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার ফসিয়ার রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সনিসহ অনেকে।