ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পাঁর বছরেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি জরাজীর্ণ ভবনে চলছে সাংস্কৃতি চর্চা !

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:৩৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
রাজশাহীর বাঘায় শিশুদের মনোবিকাশ ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য বেশ কয়েকটি সংগঠন থাকলেও সরকারী ভাবে চালু রয়েছে মাত্র একটি প্রতষ্ঠান। যার নাম “বাঘা উপজেলা শিশু একাডেমী’’। উপজেলা সদরে সংগীত চর্চার একমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান এটি। এখন এই প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ভগ্নদশা অবস্থা। ছাদ থেকে খোসে পড়ছে প্লাষ্টার। এখানে তিনজন প্রশিক্ষক-সহ সকল প্রকার বাদ্যযন্ত্র থাকলেও প্রশিক্ষকদের সরকারী ভাবে বেতন দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। 
 
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে রাজশাহী জেলা পরিষদের অর্থায়নে গড়ে উঠেছিল এই প্রতিষ্ঠান। এক সময় উপজেলা পরিষদ থেকে তাদের যত সামান্য সম্মানী ভাতা দেয়া হত, বর্তমানে সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে শিল্প সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে এ উপজেলায়  গত পাঁচ বছর পূর্বে জাদুঘর উদ্বোধন করতে এসে সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে এখানে শিল্পকলা একাডেমী স্থাপনের ঘোষনা দেন। কিন্তু জায়গার অবভাবে সেটি আজঅবধি বাস্তবায়ন হয়নি। 
 
স্থানীয় লোকজন জানান, এখানে সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসার পরে শিল্প সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের প্রধান দাবি ছিলো শিল্পকলা একাডেমী স্থাপনের। সেই আলোকে ২০১৬ সালের ৭ মার্চ  বাঘায় জাদুঘর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর শিল্পকলা একাডেমী স্থাপনের ঘোষণা দেন। তবে এ বিষয়ে সরকারের সদইচ্ছে থাকলেও উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ার জন্য সেটি আজ অবধি বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানা গেছে । 
 
অত্র অঞ্চলের সুধীজনরা জানান, বাঘা উপজেলা শিল্প সংস্কৃতিতে অন্যান্য উপজেলার চাইতে বেশ এগিয়ে। লোকজন খেলাধুলা ও সংস্কৃতি থেকে শুরু করে গান, নাটক-সহ নানা বিষয়ে এ উপজেলার বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। শিল্পকলা একাডেমী না থাকায় তারা তাদের প্রতিভা বিকাশ করতে পারেনা। যতটুকু অর্জন তার সবই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা বাড়িতে। এ উপজেলার অনেক শিল্পী রয়েছে যারা  ইতোমধ্যে নাচ-গান-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বেতার এবং টেলিভিষনে জায়গা করে নিয়েছে। 
 
 
 
 
 
উপজেলা শিশু একাডেমীর পরিচালক শ্রী প্রভাস কুমার দাস বলেন, বাঘায় শিল্পকলা একাডেমীর প্রয়োজন। সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিদের চর্চা অব্যাহত রাখার উপযুক্ত স্থান হলো একাডেমী। কিন্তু এখানে কোন একাডেমীক ভবন নেই। তিনি-সহ বাঘার সংগীত অনুরাগী ব্যাক্তিত্ব ডক্টর আব্দুস সালাম লাভলু, প্রভাষক সুখি পান্ডে, শিক্ষক প্রনব কুমার সরকার , সংগীত পরিচালক নুরুজ্জামান ভান্ডারী, শিল্পী রিয়া আক্তার, ও মিষ্টার আলী সহ অনেকেই বলেন, এখানে দ্রুত শিল্পকলা একাডেমী স্থাপনের দরকার। এ জন্য তারা স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র  প্রতিমন্ত্রী সহ মাননীয় সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করেন। 
 
 
বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, মন্ত্রী যখন এ উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমী স্থাপনের ঘোষনা দেন, তখন আমি এখানে ছিলাম না। তবে অত্র উপজেলা সদরে এই মুহুর্তে সাংস্কৃতি চর্চার জন্য “শিশু একাডেমী ’’ নামে যে ভবনটি রয়েছে আমি সেটি পরিদর্শন করেছি। এ ভবনটি নতুন করে স্থাপন করা খুবই জরুরী।