বন্যায় আটকে পড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( শাবিপ্রবি) আবাসিক শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা। এতে সহযোগিতায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার দিনব্যাপী উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন বিজিবির সদস্যরা।
এর আগে সকালে জরুরী এক সিন্ডিকেট সভায় শনিবার (২৫ জুন) পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির ফলে ক্যাম্পাস ছাড়ছেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকাল থেকে শুক্রবার (১৭ জুন) বিকাল পর্যন্ত কোমর পর্যন্ত পানি উঠছে। এছাড়া ক্যাম্পাসের এককিলো রোড়, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন, চেতনা-৭১, একাডেমিক ভবন, ইউনিভার্সিটি সেন্টার, প্রথম ছাত্রী হল, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল, প্রধান সড়কগুলোর অধিকাংশ জায়গায় হাঁটু থেকে কোমর অব্দি পানি উঠেছে। এতে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল বলেন, বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশই অবনতি হচ্ছে। সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা থাকবে ততক্ষণ আমরা তাদের নিরাপদে রাখতে কাজ করে যাবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল থামছেই না! সময় যতই গড়াচ্ছে বন্যার পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে! ক্যাম্পাসে হাঁটু অব্দি পানি হয়েছে, পানি আরো বাড়ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল সমূহ খোলা থাকবে। কোন শিক্ষার্থী হলে থাকতে চাইলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিজ দায়িত্ব নিয়ে থাকতে হবে।