পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিহত ও এলাকার পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই ইউনিয়নের সকল পদের নির্বাচন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সকালে দুই পক্ষের নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘর্ষে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিহতের ঘটনায় ওই দিনই শুধু মাত্র চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত করেন পাবনা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কায়সার আহম্মেদ।
নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব আতিয়ার রহমান রোববার এক আদেশে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সকল পদে নির্বাচন বাতিনের এই সিদ্ধান্ত জানান।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবার কথা ছিল। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম নিহত হবার ঘটনায় রিটার্নিং অফিসার এলাকার পরিস্থিতি বর্ণনা করে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে। এর প্রেক্ষিতেই কমিশন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচন বাতিল করেছে। ইউনিয়নটিতে নতুন করে তফশিল ঘোষণা হতে পারে।
গেল ১১ ডিসেম্বর সকালে পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু সাঈদ খানের সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী সুলতান মাহমুদ খান ও তার চাচাতো ভাই ইয়াসিন আলম সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসিন আলম নিহত হন। ওই ঘটনায় নিহত ইয়াসিন আলমের পিতা মোজাম্মেল ওরফে মুজা খা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ভাড়ারা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ খাঁকে প্রধান আসামী তার অপর ভাই পাশ^বর্তী দোগাছী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাব খাঁসহ ৩৪ জন নামীয় ও ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।