ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পিতার পক্ষে পুত্রের ভোট, অত:পর....

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৮ নভেম্বর ২০২১ ০৫:১৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

উঠতি বয়সের যুবক পারভেজ আহমেদ। পিতা নুরুল ইসলাম প্রবাসী, ভোট দিতে পারবে না। পছন্দের প্রার্থীর একটি ভোট কম হবে, এটা কি মানা যায়? তাই প্রবাসী পিতার ভোট দিতে কেন্দ্রে যায় তারই সন্তান পারভেজ আহমেদ। ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ, যাচাই-বাছাইয়ে প্রমাণ মিললো পারভেজ জাল ভোট দিতে এসেছেন। তখনই সোপর্দিত হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। গ্রেপ্তারের পর ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ে দণ্ডিত হন পারভেজ আহমেদ। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা এলাকার।

রোববার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ঘটে এই ঘটনা। ছয় মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত পারভেজ আহমেদ (২০) মুক্তারামপুর গ্রামের প্রবাসী নূরুল ইসলামোর পুত্র।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রবাসী পিতার ভোট দিতে মুক্তারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান পারভেজ নামের যুবক। ভোটার এবং ভোট দিতে কেন্দ্রে গমণকারীর বয়স, চেহারাসহ পারিপার্শ্বিকতায় সন্দেহ হওয়ায় ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারীরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করাসহ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে থাকেন। এতে প্রমাণিত হয় ভোট দিতে যাওয়া ব্যাক্তিটি নূরুল ইসলাম নন, তার ছেলে পারভেজ আহমেদ। তখন তারা তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়ামিন হোসেনের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করেন। গ্রেপ্তারকৃত পারভেজ তার কৃত অপরাধ স্বীকার করায় ঘটনাস্থলে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট তাকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর ৭২ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

 

দণ্ড প্রদানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়ামিন হোসেন বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'অপরাধ সংগঠনকালে হাতেনাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে অপরাধ স্বীকার করায় তাকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর ৭২ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।'