পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসা ও এফ করিম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবীতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার প্রধান ফটকের সামনে বর্তমান শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের দাবীর সাথে সংহতি প্রকাশ করেন মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ও কর্মচারীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, "মো. দেলাওয়ার হোসেনকে এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারণ করতে হবে । তিনি দুর্ণীতিবাজ, নারীলোভী, অর্থ আত্মসাৎকারী ও ঘুষ নিয়ে পরীক্ষায় নকল সরবরাহকারী। এই অধ্যক্ষকে কোন অবস্থাতেই আমরা মাদ্রাসায় দেখতে চাই না। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাকে যদি অপসরণ করা না হয়, তাহলে আমরা কঠিনতর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। অন্যদিকে ইন্দুরকানী এফ. করিম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শাহ্ আলম কে অপসরনের দাবী জানিয়ে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দাবী অধ্যক্ষ শাহ্ আলম কিছুদিন পূর্বে নিয়োগ বানিজ্য করেছেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য মাদ্রাসায় বরাদ্ধকৃত টাকা আত্মসাত করেছেন। এছাড়াও তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সহযোগী ছিলেন। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, "আমরা শিক্ষার্থীদের দাবীর সাথে একমত পোষণ করছি। অনিয়ম ও দুর্ণীতির সাথে যুক্ত থাকায় আমরা অধ্যক্ষ মাওলানা দেলাওয়ারের অপসারণ চাই। এ সময় মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহিল মাহমুদ, আরবী প্রভাষক মোঃ সাইফুল ইসলাম, মাহাবুব বিল্লাহ, মাওলানা হারুন অর রশীদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় অবিভাবকরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে বক্তব্য রাখেন।"
এদিকে টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা দেলাওয়ার হোসেনকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নাই। অন্যদিকে ইন্দুরকানী এফ. করিম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ্ আলম জানান, আলটিমেটামের বিষয় আমি কিছু জানিনা। আমি কোন দুর্ণীতির সাথে জড়িত না।"