বগুড়ার নন্দীগ্রামে স্ত্রী ও সম্বন্ধীর প্রতারণার শিকার হয়ে জীবন কুমার (৪২) নামে এক যুবক গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। জানা গেছে, উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের হাটকড়ইগ্রামের মৃত আনন্দ চন্দ্রের ছেলে জীবন কুমার ২১/২২ বছরপূর্বে একই গ্রামের মৃত নরেশ চন্দ্রের মেয়ে আরতী রাণীকে (৩৬) বিবাহ করে ঘরসংসার শুরু করে। দাম্পত্যজীবনে তাদের কোনো সন্তান জন্ম নেয়নি। এ কারণে ৮/১০ বছরপূর্বে জীবন কুমার তার স্ত্রী আরতী রাণীকে সাড়ে ১৬ শতক জমি দলিল করে দিতে চায়। এরপর আরতী রাণী ও তার ভাই বিরেশ্বর চন্দ্র কৌশলে আরতী রাণীর নামে ৪ বিঘা সাড়ে ৫ শতক জমি এবং বিরেশ্বর চন্দ্রের নামে হাটকড়ই বাজারের মূল্যবান সোয়া ৩ শতক জায়গা দলিল করে নেয়। কিন্তু জীবন কুমার দলিল করে দেওয়ার সময় তাদের কৌশল বুঝতে পারেনি। এছাড়াও জীবন কুমারের নিকট থেকে বিরেশ্বর চন্দ্র তার মেয়ের বিবাহ দেওয়ার সময় সাড়ে ৪ লাখ টাকা ধার নেয়। জীবন কুমার ছিলো একেবারেই নিরীহ-সরলসোজা মানুষ। সে কারণে তারা ওইসব সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। গত ১০ জুন জীবন কুমার ধারের টাকা ফেরৎ চাইলে সে কালক্ষেপণ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে জানতে পারে তাকে ঠকিয়ে অতিরিক্ত জমি-জায়গা দলিল করে নিয়েছে তারা। এতে সে হতাশ হয়ে পড়ে। এর একপর্যায়ে ১১ জুন বেলা আনুমানিক ১১ টারদিকে জীবন কুমার সবার অজান্তে গ্যাস ট্যাবলেট খায়। পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা আনুমানিক ২ টারদিকে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় একটি ইউডি মামলা হয়। পুলিশ তার মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে জীবন কুমারের কাকা ভারত চন্দ্রের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আরতী রাণী ও তার ভাই বিরেশ্বর চন্দ্র জমি-জায়গা এবং টাকা আত্মসাত করার ঘটনায় মনের দুঃখে ভাতিজা জীবন কুমার আত্মহত্যা করেছে। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই।