বগুড়ার সোনাতলায় গড়ে তোলা হয়েছিলো একটি কারখানা। বিএসটিআইসহ কোন সরকারি অনুমোদন না নিয়েই সেখানে তৈরি করা হতো পানীয়, শিশু খাদ্যসহ নিত্য ব্যবহার্য্য পণ্য। বাজারেও দেদার বিক্রি হতো সেসব। সেই তথ্য পেয়ে ওই কারখানায় বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। সেখানে বিপুল পরিমাণ পণ্য জব্দ করার পাশাপাশি কারখানা মালিকের বাবা ও কারখানার ব্যবস্থাপককে আটক করা হয়। পরে তাদের আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। সেইসঙ্গে জব্দকৃত প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল সেখানেই রোলার চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা সদরের গড় ফতেপুর গ্রামে মেসার্স সালেক ফুড অ্যা- ক্যামিক্যাল ই-াষ্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি কারখানা গড়ে তোলেন ওই গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সালেক সোলার। সেই কারখানায় কোন প্রকার বিএসটিআই বা সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ছাড়াই উৎপাদন শুরু করেন সুরভী ড্রিংকিং ওয়াটার, সুরভী মরিচ ও হলুদের গুঁড়া, সুরভী সরিষার তেল, সুরভী শ্যাম্পু, সুরভী আইস ললি, সুরভী চানাচুর, লিকুইড ডিশওয়াশ, সালেক মশার কয়েল, সালেক বলপেন, সালেক হ্যা- ওয়াশ, সালেক স্যানিটাইজার, সালেক টয়লেট ক্লিনার ও এসপিএল ব্যাটারীর পানি। অবৈধপন্থায় এসব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার বিষয়টি নজরে আসে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার(এনএসআই) সদস্যদের। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালত। বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমীর সালমান রনির নেতৃত্বে এই অভযানে বিএসটিআই, এনএসআই, এপিবিএন ও থানা পুলিশের সদস্যরা সহায়তা করেন। অভিযানকালে সেখানে বিপুল পরিমান মালামাল জব্দ করার পাশাপাশি কারখানা মালিকের বাবা মোফাজ্জল হোসেন ও কারখানার ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে তাদের আড়াই লাখ টাকা জরিনমানা করা হয়। সেইসঙ্গে জব্দকৃত প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল রোলার দিয়ে ধ্বংস করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমীর সালমান রনি জানান, খাদ্য নিরাপত্তসহ অবৈধভাবে পণ্য উৎপাদনের বিরুদ্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।