ঢাকা, শনিবার ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯শে মাঘ ১৪৩১

বাঁশখালীতে অর্ধ ডজন মামলার আসামি আনোয়ার ধরাছোঁয়ার বাইরে

শফকত হোসাইন চাটগামী, বাঁশখালী | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৫ ১২:৪৯:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
অর্ধডজন মামলার আসামি চেয়ারম্যান মুজিবের অন্যতম সহযোগী আনোয়ার হোসেন।

বাঁশখালী চাম্বল ইউনিয়নের আলোচিত পলাতক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরীর শীর্ষ ক্যাডার চেয়ারম্যানের অন্যতম সহযোগী চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধারায় অর্ধ ডজন মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। চাম্বলের আলোচিত সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান মুজিবুল হকসহ তার শিষ্যরা পালিয়ে গেলেও চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী আনোয়ার এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে বিচরণ করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

জানা গেছে, বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পশ্চিম চাম্বল ৪নং ওয়ার্ড, আমিন চৌধুরী বাড়ির মৃত হামিদ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০) চেয়ারম্যান মুজিবের আশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। চাম্বলে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র ব্যবসাসহ নানা কর্মকান্ড করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন এলাকায়। ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় জাতীয় পার্টি নেতা সাবেক এমপি ও সাবেক চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর উপর হামলা ও গুলিবর্ষণে নেতৃত্ব দেন এই আনোয়ার। এলাকাবাসীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান মুজিবের হয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা ও নেতৃত্ব দিতেন আনোয়ার। লোকজনকে জিম্মি করে টাকা আদায়, মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসা পরিচালনা করতেন আনোয়ার হোসেন।

সরকার পরিবর্তনের পর চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাসহ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও অর্ধ ডজন মামলার আসামি আনোয়ার এখনো বহাল তবিয়তে। ৫ আগস্টের পর কিছু দিন আত্মগোপনে থাকলেও বর্তমানে প্রকাশ্যে বিচরণ করছে এলাকায়। এমনকি বিভিন্ন দোকানে বসে এবং আলোচনা আড্ডায় নানা সরকার বিরোধী মন্তব্য করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা আবার ফিরবে এমন মন্তব্য করছে প্রকাশ্যে। এনিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিলেও আনোয়ার রয়ে গেছে অধরাই।

পশ্চিম চাম্বল এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, বিগত সময়ে আমরা সন্ত্রাসী আনোয়ার ও তার বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। সরকার পরিবর্তনের পরও কিছু মানুষের ইন্দনে এই সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে এলাকায় বিচরণ করছে। যা বড়ই দুঃখজনক।

বাঁশখালী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই কামরুল হাসান কায়কোবাদ জানান, আনোয়ার এলাকায় আছে এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। চেয়ারম্যান মুজিবুল হকের অন্যতম এই সহযোগীকে পুলিশ গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ